Advertisement
Advertisement
Railways

হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার চিনা সামগ্রী, নজরে রেলের পার্সেল পরিষেবা

লাদাখে সংঘর্ষের আবহে বেশকিছু চিনা পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র।

Chinese mobile parts apprehended from Railway parcel services | Sangbad Pratidin

প্রতীকী

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 24, 2020 1:22 pm
  • Updated:September 24, 2020 1:22 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: পার্সেল পরিষেবা থেকে আয় বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে রেল। কিন্তু বেআইনিভাবে বহু ধরনের পণ্য যাতায়াত করছে বলে কাস্টমস সূত্রে খবর। খিদিরপুর থেকে হায়দরাবাদের জন্য রেলে ইমারজেন্সি সার্ভিসে কুরিয়ার বুকিংয়ে ৪০০টি মোবাইল পার্টস পাঠানো হচ্ছিল। বারাসত থেকে কাস্টমস টিম এসে হাওড়া ৯ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে চিনা যন্ত্রাংশগুলি আটক করে। কাস্টমসের চিফ কমিশনার প্রমোদকুমার আগরওয়াল জানান, পার্টসগুলি বেআইনিভাবে ট্রেনে হায়দরাবাদে যাচ্ছিল কুরিয়ার মারফৎ।

[আরও পড়ুন: একুশের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ লক্ষ টাকার বিজ্ঞাপন, তৃনমূলকে টেক্কা দিচ্ছে বিজেপি]

পার্সেল পরিষেবা বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই নানা ধারনের সুযোগ নিচ্ছে বলে কাস্টমসের পাশাপাশি সেলস ট্যাক্স বিভাগের কর্মীরা অভিযোগ তুলেছেন। সম্প্রতি শিয়ালদহ পার্সেলের নানা ধরনের কার্যকলাপ ফাঁস হওয়া সতর্ক হয়েছে প্রশাসন। সারপ্রাইজ চেকিংয়ের ব্যবস্থা হয়েছে। তা সত্বেও কর্মীদের আক্ষেপ, এক শ্রেণির চক্র এখনও বেআইনি কাজের জন্য নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। জনৈক অবসর প্রাপ্ত ‘ডিকে’র নামে পার্সেলে প্রভাব চলায় অসন্তুষ্ট সেখানকার কর্মীরা। এদিকে বুধবার ভিডিও কনফারেন্সে ডিআরএম ও বিভাগীয় কর্তাদের পূর্ব রেলের জিএম সুনিত শর্মা নির্দেশ দেন, যায় বাড়াতে পরিষেবার দিকে জোর দিতে। এজন্য গুডস শেডগুলি উপযুক্ত, লাইন ও ইয়ার্ড পরিকাঠামো উপযুক্ত রাখতে।

Advertisement

উল্লেখ্য, লাদাখে সংঘর্ষের আবহে বেশকিছু চিনা পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। তবে চোরাই পথে সেগুলি এখনও ভারতে প্রবেশ করছে এবং বাজারে বিক্রি হচ্ছে। গত জুন মাসে, কলকাতা-সহ দেশের সমস্ত বিমানবন্দর ও পোর্টে চিনা পণ্য খালাসে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কাস্টমস। লাদাখে চিনা (China) আগ্রাসনের জবাবেই এই পদক্ষেপ। ‘Air Cargo Agents’ Association of India’ এবং ‘cargo managing committee’-র তরফে জানানো হয়েছিল, কাস্টমসের তরফে পণ্য খালাসে জড়িত সমস্ত আধিকারিকদের অভ্যন্তরীণভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেন চিন থেকে আসা পণ্য খালাস না করেন। যে পণ্যে ইতিমধ্যে ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছে সেগুলিকেও যেন খালাস না করা হয়। সমস্ত পণ্য ফের পরীক্ষা করে খালাস করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কলকাতা (Kolkata) ছাড়াও মুম্বই ও চেন্নাই বিমানবন্দর ও পোর্টে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়।

[আরও পড়ুন: নিখোঁজ নাবালিকাকে উদ্ধার করে ফেরার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, পুলিশকর্মী-সহ মৃত ৪]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement