রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: লাদাখ সীমান্তে (Ladakh) চিন সেনার আগ্রাসনই এই মুহূর্তে দেশে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। রাজনীতিবিদরাও একে ইস্যু করে জনসংযোগে নামতে একটুও দেরি করেননি। শনিবার সকালে
উত্তর কলকাতার সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটে চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) সেই বার্তাই দিতে চাইলেন। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে এদিন চায়ে পে চর্চায় উঠে এল চিন প্রসঙ্গ। এদিন সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটের চা চর্চা শেষ করে তিনি চলে যান পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে, নিহত বিজেপি কর্মীকে শ্রদ্ধা জানাতে।
এদিন চায়ে পে চর্চায় দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়, আগেরবারের মতো এবারও কি ভারত চিনের উপর আক্রমণ করবে? তাতে দিলীপ ঘোষের জবাব, সব কিছুই স্যাটেলাইটে ধরা পড়ে। বালাকোটে বিমান হামলার প্রমাণও রয়েছে। সময়ই সব কিছুর জবাব দেবে। অর্থাৎ এমন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে বেশ সাবধানী উত্তরই দিলেন বারবার বেফাঁস কথা বলে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তবে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন। দিলীপের কথায়, ”ভারতকে যারা ভয় দেখানোর চেষ্টা করে, তারা উচিত শিক্ষা পাবেই।”
সকালে সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটে চায়ে পে চর্চা সেরে দিলীপ ঘোষ রওনা হয়ে যান পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের উদ্দেশে। বুধবার রাতে সেখানে খুন হন এক বিজেপি কর্মী। চকইসমাইলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসমি গ্রামে বিজেপির দলীয় কর্মসূচি ছিল। অভিযোগ, সকাল থেকে তৃণমূল কর্মী,সমর্থকরা তাতে বাধা দেয়। সেই বাধা উপেক্ষা করেই দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন বিজেপি কর্মী পবন জানা। ছিলেন আরও অনেকেই। কর্মসূচি সেরে রাতে বাড়ি ফেরার পথে জনা কয়েক দুষ্কৃতী হামলা চালায়। পবনকে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই বিজেপি কর্মী পবনের মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। তাঁর বাড়িতেই আজ যাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.