সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাড় জোড়া লাগাতে গিয়ে এক বালকের মৃত্যু। কাঠগড়ায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। পরিবারের লোকেদের দাবি, মঙ্গলবার রাতে অস্ত্রোপচারের পর আর জ্ঞান ফেরেনি ওই বালকের। শেষপর্যন্ত তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তাঁদের সাফাই, হৃদযন্ত্র দুর্বল থাকার কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, এই ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সুপারের কাছে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবার।
[ভাঙড়ে মাও-যোগ! বেলঘরিয়ায় ধৃত সিপিআইএমএল রেড স্টার-এর ১১ সদস্য]
জানা গিয়েছে, মৃত ওই বালকের নাম মিজান আলি। বাড়ি হুগলির জাঙ্গিপাড়ায়। স্থানীয় একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণি ছাত্র ছিল মিজান। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে বাঁ হাত ভেঙে যায় ওই বালকের। তাকে প্রথমে জাঙ্গিপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মিজানকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মঙ্গলবার রাতেই বাঁ-হাতে ভাঙা হাড় জোড়া লাগানোর জন্য অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের পর আর জ্ঞান ফেরেনি মিজানের। এমনকী, অস্ত্রোপচারের পর তার শারীরিক অবস্থা যে সংকটজনক, তাও জানানো হয়নি।বুধবার ভোরে মারা যায় মিজান। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুদ্ধ মৃতের পরিবারের লোকেরা। মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপারের কাছে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। যদিও মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাফাই, মিজানের হৃদযন্ত্র দুর্বল ছিল। তাই অস্ত্রোপচারের ধকল নিতে পারেনি সে।
[কোন আইনে ১২ বছর বেতন বন্ধ, শিক্ষকের মামলায় প্রশ্ন হাই কোর্টের]
এটা ঘটনা, যে যেকোনও অস্ত্রোপচারেই ঝুঁকি থাকে। কিন্তু, হাতে অস্ত্রোপচার করে হাড় জোড়া লাগাতে গিয়ে কি রোগীর মৃত্যু হতে পারে? শুধুমাত্র বাঁ-হাত অচেতন করেই বা কেন অস্ত্রোপচার করা হল না? চিকিৎসক জানিয়েছেন, মিজানের বয়স খুবই কম। তাই শুধুমাত্র বাঁ-হাতটি অচেতন করে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব ছিল না। তাকে অচেতন করতেই হত। কিন্তু, সেক্ষেত্রে অচেতন করার আগে রোগীর শারীরিক অবস্থা ভাল করে খতিয়ে দেখে নিতে হয়। তবে রোগীর অবস্থা যদি সংকটজন হয়, তাহলে সবসময় শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুয়োগ থাকে না। ঝুঁকি থাকলেও, রোগীকে অচেতন করে অস্ত্রোপচার করা হয়। যদিও মৃত ওই বালকের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার তাকে যথন হাসপাতালে আনা হয়েছিল, তখন শারীরিক অবস্থা মোটেই সংকটজনক ছিল না।
[সক্রিয় উত্তুরে হাওয়া, মরশুমের শীতলতম দিনে জবুথবু রাজ্যবাসী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.