সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভুল ইনজেকশনে নয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে আড়াই বছরের ফুটফুটে শিশুকন্যা ঐত্রী দে। জানালেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা। আমরিতে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিশে হাতে এসেছে। সেই রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
[ভুল ইঞ্জেকশনের বলি আড়াই বছরের শিশু, তুলকালাম আমরি হাসপাতালে]
বুধবার এক শিশুকন্যার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে মুকুন্দপুরের আমরিতে। গত সোমবার জ্বর নিয়ে আমরিতে ভরতি হয়েছিল আড়াই বছরের ঐত্রী দে। এক সপ্তাহ ধরে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, বুধবার সকালে ঐত্রীকে ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শুরু হয় খিঁচুনি। কিছুক্ষণ পর মারা যায় সে। ভুল ইনজেকশন দেওয়ার অভিযোগে হাসপাতালে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে মৃতার পরিবার। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে মেজাজ হারান আমরি হাসপাতালের ইউনিট হেড জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়। মৃতের পরিবারকে তাঁর হুমকি, ‘এখানে মস্তানি করতে আসবেন না। আমার থেকে বড় মস্তান কেউ নেই।’ এতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে।
[আমার চেয়ে বড় মস্তান আর নেই, আমরি কর্তার শাসানি মৃতার মাকে]
ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে আমরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন মৃতার বাবা জয়ন্ত দে। ইউনিট হেড জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও এফআইআর হয়েছে। ঐত্রীর মৃত্যুর সুবিচার চেয়ে স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ করেছেন বাড়ির লোকেরা। বৃহস্পতিবার কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মৃতার বাবা। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে মৃতার পরিবারের বিরুদ্ধেও পালটা অভিযোগ করেছে আমরি কর্তৃপক্ষ।
[মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আমরির বিরুদ্ধে মেডিক্যাল কাউন্সিলে ঐত্রীর পরিবার]
আমরিতে শিশুমৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। নিয়মমাফিক মৃতদেহটিও ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে তদন্তকারীদের প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা। কী বলা হয়েছে রিপোর্টে? কীভাবে মারা গেল আড়াই বছরের ফুটফুটে শিশুকন্যা? জানা গিয়েছে, ভুল ইনজেকশন নয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। প্রসঙ্গত, আমরি কর্তৃপক্ষও প্রথম থেকেই দাবি করেছে, এক সপ্তাহ ধরে বমি নিয়ন্ত্রণের জন্য ঐত্রীকে ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছিল। তাতে কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু, ঘটনার দিন সকালে আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয় সে। তাকে আর বাঁচানো যায়নি।
[ফের চিকিৎসায় গাফিলতিতে বধূমৃত্যুর অভিযোগ, সংকটে নবজাতকও]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.