সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের করোনায় কতজনের মৃত্যু হয়েছে? সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ৫। বেসরকারি মতে, সংখ্যাটা আরও বেশি। শুক্রবারের সাংবাদিক বৈঠকে এই নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, অন্য কোনও শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে যাঁরা হাসপাতালে ভরতি হচ্ছেন এবং পরে করোনা সংক্রমণ হচ্ছে, তাঁদের এই তালিকায় রাখা হচ্ছে না। মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রোজ বিকেলে নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তথ্য দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবই এর দায়িত্বে থাকেন। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তথ্য পেশ করে তিনি বলেন, “রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ৮৯ জন, মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১২। আর কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত হয়েছেন ৪৫০ জন।” এরপরই প্রশ্ন উঠেছিল, মৃতের সংখ্যাটা বেসরকারি মতে আরও বেশি। তাতে রাজ্যের মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। সাংবাদিকদের এই দাবি সরাসরি উড়িয়ে দিয়ে রাজীব সিনহা বলেন, “রাজ্যের তৈরি অডিট কমিটি মৃত্যু নিয়ে যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে, সেটাই একমাত্র সঠিক। কলকাতা বা অন্য কোনও পুরসভার দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেট এক্ষেত্রে গ্রহণীয় নয়। মৃতদের ময়নাতদন্ত এবং অন্যান্য রিপোর্ট দেখে একমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি কমিটির রিপোর্টই সর্বজনগ্রাহ্য। তাই এ নিয়ে বিভ্রান্তির কারণ নেই।”
মুখ্যসচিবের এই জবাবকে সমর্থন করেন বিশেষজ্ঞ কমিটিতে থাকা চিকিৎসক ড. অভিজিৎ চৌধুরি। তিনিও ব্যাখ্যা দেন, অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে যাঁরা চিকিৎসা করাতে আসছেন, তাঁদের শরীরে করোনা বাসা বাঁধলেও শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হচ্ছে মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর বা অন্য কারণে। তাই সরাসরি তাঁদের করোনার বলি বলে ধরা যাবে না। এদিন মুখ্যসচিব আরও বলেন যে লকডাউন মেনে চলার ফলে সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। তাই লকডাউনই দ্রুত সুস্থ হওয়ার একমাত্র রাস্তা। রাজ্যের ৯, ১০টি জায়গা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সেখানে সম্পূর্ণ লকডাউন চলবে। প্রয়োজনীয় রসদ পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব প্রশাসনের। মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই এদিন রাজীব সিনহার মত, কেন্দ্রের তরফে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হলে, তা মেনে চলবে রাজ্য। এই সংকট পরিস্থিতিতে সেটাই হবে সংক্রমণ রুখে দেওয়ার বড় হাতিয়ার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.