নব্যেন্দু হাজরা: আগামী সপ্তাহে টানা তিনদিন বাস ধর্মঘট (Bus Strike)। ভাড়াবৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে রাজ্যের ৫টি বাস মালিক সংগঠন। টানা তিনদিন ধর্মঘটের জেরে নিত্যযাত্রীরা যে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়বেন, সে কথা মাথায় রেখে রবিবার ধর্মঘটীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে রফাসূত্র খুঁজতে উদ্যোগী রাজ্য প্রশাসন। সূত্রের খবর, এদিন বিকেল ৩ টে নাগাদ নবান্নে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Banerjee)ঘরে বৈঠক। তাতে ধর্মঘটের বদলে অন্য পথে সমাধানের প্রস্তাব দিতে পারে রাজ্য সরকার। যদিও ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে এখনও অনড় বাস মালিক সংগঠনগুলি।
শুধু ভাড়া বৃদ্ধিই নয়, এবার আরও একগুচ্ছ দাবি আদায়ে ধর্মঘটের পথে নামছে রাজ্যের ৫ বাস সংগঠন। এর মধ্যে অন্যতম ডিজেলের উপর ট্যাক্স কমিয়ে জিএসটি চালু করা। তাঁদের দাবি, ডিজেলের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে ভাড়া বাড়িয়েও বিশেষ লাভ হবে না। তাই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে পেট্রোপণ্যের উপর ট্যাক্স কমাতে হবে। তবেই বাস চালাবেন তাঁরা। গত মঙ্গলবার নিজেদের মধ্যে বৈঠকের পরও ধর্মঘটের রাস্তায় হাঁটার সিদ্ধান্তে অনড় সংগঠনগুলি। তা চূড়ান্ত করে আগামী ২৯, ৩০ এবং ৩১ জানুয়ারি বাস ও মিনিবাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পাঁচটি সংগঠন।
প্রসঙ্গত, ওই তিনদিন ট্যাক্সি ধর্মঘটও রয়েছে। ফলে নিত্যদিনের পরিবহণ নিয়ে ব্যাপক চাপের মুখে পড়ার আশঙ্কায় কাঁটা যাত্রীরা। তাঁদের দাবি, লকডাউনের পর থেকে বাস-সহ একাধিক গণপরিবহণ চালু হওয়ার পর থেকেও রাস্তায় সরকারি বাস কম। ভরসা বলতে বেসরকারি বাসই। রাতের দিকেও সেসব কমই পাওয়া যায়। তারউপর, বেসরকারি বাস টানা তিনদিন ধর্মঘটে গেলে গন্তব্যে পৌঁছতে চূড়ান্ত সমস্যা হবে বলে আশঙ্কা তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে টানা তিনদিনের ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে বাস মালিক সংগঠনগুলি যদি কিছুটা নমনীয় হয়, তাহলে যাত্রীস্বার্থে তা অনেকটাই ভাল হবে। রবিবার রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যসচিব (Chief Secretary) আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব রাখতে পারেন বাসমালিকদের সঙ্গে বৈঠকে। তবে ধর্মঘটী সংগঠনগুলির বক্তব্য, ডিজেলের ট্যাক্স নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের উপর চাপ জারি রাখতে ধর্মঘটেই অনড় তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.