গোবিন্দ রায়: মাওবাদীরা পরিকল্পিতভাবেই খুন করেছিল সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতোকে। খুনের পরিকল্পনার নেপথ্যে ছিলেন বর্তমান তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহতো। তিনিই এই ঘটনার মূলচক্রী। প্রায় ১৩ বছরের মাথায় লালগড়ের সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনের মামলায় তৎকালীন পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণ কমিটির (PCPA) নেতা ছত্রধর মাহাতোর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)।
খুনের মামলায় বৃহস্পতিবার কলকাতা নগর দায়রা আদালতের এনআইএর বিশেষ আদালতে ছত্রধর মাহাতো সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ৯৬ পাতার একটি চার্জশিট পেশ করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৯ সালের ১৪ জুন লালগড়ের ধরমপুরের ওই সিপিএম (CPM) নেতাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। ধর্মপুরের জঙ্গল থেকে মিলেছিল মৃতদেহ। শুধুমাত্র তাই নয়, প্রকাশ্যে একটি পোস্টার পড়েছিল যদি কেউ মৃতদেহ স্পর্শ করে, তাহলে তাকেও একই হাল করা হবে। সেক্ষেত্রে নৃশংসতার দিক থেকে এটি যুগান্তকারী বলেও উল্লেখ করা হয় চার্জশিটে।
তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে এনআইএয়ের তদন্তকারীরা। তার ভিত্তিতেই চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। যেখানে প্রতি ক্ষেত্রেই ঘটনার মূলচক্রী বা ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে নাম রয়েছে তৎকালীন পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণ কমিটির নেতা ছত্রধরের নাম। চার্জশিটে নাম থাকা প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই ইউএপিএ (UAPA) বা রাষ্ট্রদ্রোহিতার আইনে মামলা আনা হয়েছে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির আরও পাঁচটি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান এনআইএয়ের তরফে আইনজীবী শ্যামল ঘোষ।
এর আগে রাজধানী এক্সপ্রেস(Rajdhani Express) অপহরণের ঘটনার মূল চক্রী হিসাবে ছত্রধর মাহাতোর নামে চার্জশিটে দিয়েছে এনআইএ। সেখানে মাওবাদী নেতা কিষেণজি, ছত্রধরের ভাই শশধর মাহাতো-সহ মোট ১৩ জনের নাম ছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.