ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বন্যপ্রাণ নিয়ে রাজনীতি! একযোগে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে বিজেপি। তৃণমূল বলছে, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে বিদেশ থেকে চিতা না আনিয়ে পারলে কোহিনূর এনে দেখাতে পারতেন। আর কংগ্রেস (Congress) বলছে, দেশে চিতা ফেরানোর চেষ্টা করেছিল আগের কংগ্রেস সরকারই।
আসলে মোদির হাত ধরেই প্রায় ৭ দশক বাদে দেশে ফিরেছে চিতা। নিজের জন্মদিনে গোটা আষ্টেক চিতা নামিবিয়া থেকে আমদানি করে গোয়ালিয়রের জঙ্গলে ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৫২ সালে চিতাকে বিলুপ্ত (Extinct) বলে ঘোষণা করেছিল তৎকালীন কেন্দ্র সরকার। এদিন মোদি সেই চিতা দেশে ফিরিয়ে সুচতুর ভঙ্গিতে আগের কংগ্রেস সরকারগুলিকে কটাক্ষও করেছেন। চিতাগুলিকে জঙ্গলে ছেড়ে মোদি এদিন বলেন, “দুর্ভাগ্য এই যে এদের পুনর্বাসনের জন্য কেউ কোনও চেষ্টা করেনি। এবছর স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে চিতাদের ফিরিয়ে নতুন শক্তি প্রদর্শন করল ভারত।”
যদিও প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে নিছকই বন্যপ্রাণ নিয়ে রাজনীতি করার অপচেষ্টা হিসাবে দেখছে বিরোধী শিবির। তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের অভিযোগ, ‘দেশের যে আসল সমস্যা, মূল্য বৃদ্ধির সমস্যা, সেসব নিয়ে আলোচনা করছে না বিজেপি। ৮ কোটি চাকরি ২ বছরে দেবেন বলেছিলেন। উলটে ১৬ কোটি চাকরি গেছে। বাইরে থেকে এখন তিনি চিতার ছানা আনছেন। এটা হাস্যকর। ছেলেমানুষী। নজর ঘোরাতে এসব করা হচ্ছে। এর বদলে পেট্রল-ডিজেলের দাম কমাতে পারতেন। যদি আজ চিতার জায়গায় সকলের সামনে কোহিনুর ফিরিয়ে আনতেন, তাহলে বুঝতাম ৫৬ ইঞ্চি।’ বস্তুত ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর কোহিনূর ভারতে ফিরিয়ে আনার দাবি জোরাল হচ্ছে নেটমাধ্যমে। কেন্দ্র অবশ্য এসব নিয়ে উচ্চবাচ্চ করেনি। সেই প্রসঙ্গ তুলেই বিজেপিকে খোঁচা দিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
কংগ্রেসও নিজেদের মতো করে মাঠে নেমেছে। কংগ্রেসের প্রচার বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ দাবি করেছেন, কংগ্রেস সরকারের আমলেই ২০১০ সালে কেপটাউন সফরের সময় তিনি নিজে দেশে চিতা ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু মোদি (Narendra Modi) সেটা নিজের বক্তব্যে বেমালুম এড়িয়ে গিয়েছেন। আসলে এই সরকার প্রশাসনের ধারাবাহিকতায় বিশ্বাসই করে না। আরেক কংগ্রেস নেতা পবন খেরা আবার বলছেন,”আসলে আমাদের সিংহ (পড়ুন রাহুল গান্ধী) ভারত জোড়ো যাত্রায় বেরিয়েছেন। তাই মোদি ভয়ে বিদেশে থেকে চিতা আনাচ্ছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.