Advertisement
Advertisement

Breaking News

Remdesivir

রেমডেসিভির বিক্রির নামে প্রতারণা খাস কলকাতায়! পার্ক স্ট্রিটে গ্রেপ্তার চিকিৎসক

অভিযুক্ত ডা. আলমকে ১৯ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ আদালতের।

Cheating on Park Street in the name of selling remdesivir, physician arrested | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:May 16, 2021 10:09 pm
  • Updated:May 16, 2021 10:09 pm  

অর্ণব আইচ: করোনার (Coronavirus) ওষুধ রেমডেসিভির (Remdesivir) বিক্রির নাম করে প্রতারণা ও কালোবাজারি। এই অভিযোগে এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করলেন পার্ক স্ট্রিট (Park Street) থানার আধিকারিকরা। ডা. মহম্মদ মুমতাজ আলম নামে ওই চিকিৎসক বিহার থেকে কলকাতায় এসেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, একবালপুরের বাসিন্দা সুরজকুমার চৌহানের এক পরিজন করোনা আক্রান্ত। তাঁর রেমডেসিভির ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন ছিল। সম্প্রতি সুরজের পরিচিত এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে করে পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার রিপন স্ট্রিটে যান। সেখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় ডা. মহম্মদ মুমতাজ আলম নামে ওই চিকিৎসকের। ওই চিকিৎসক সুরজকে বলেন যে, তাঁর কাছে রেমডেসিভির রয়েছে। যদিও সেটি বিহার থেকে নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু তিন হাজার টাকার রেমডেসিভির কিনতে হবে ২২ হাজার টাকায়। ওই চিকিৎসক কালোবাজারি করা সত্ত্বেও সুরজ পরিজনকে বাঁচানোর জন্য জীবনদায়ী ওষুধটি কিনতে রাজি হয়ে যান।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগের মাশুল? বিধাননগর পুরনিগম থেকে সব্যসাচী ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাদ দেওয়ার প্রস্তাব]

অভিযুক্তর কথামতো তিনি অনলাইনে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আগাম দু’হাজার টাকা পাঠান। এর পর তিনি বাকি ২০ হাজার টাকা নিয়ে ফের রিপন স্ট্রিটে যান। কিন্তু ওষুধ চাইতে গেলেই ওই চিকিৎসক তাঁকে রেমসেডিভির দেওয়ার বদলে আরও টাকা চাইতে শুরু করেন। তখনই সুরজের সন্দেহ হয়। সুরজ পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। পরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার ওই চিকিৎসককে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাঁকে ১৯ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জেনেছে, ধৃত চিকিৎসক আদৌ ওই জীবনদায়ী ওষুধ জোগাড় করেননি। হাতে ওষুধ না থাকা সত্ত্বেও তিনি আগাম টাকা নিয়ে কালোবাজারির ছক কষেন। বাকি টাকাও ওই চিকিৎসকের হাতিয়ে নেওয়ার ছক ছিল বলে অভিযোগ। বিহারে ডাক্তারি পাশ করা ওই ব্যক্তি কলকাতায় এসে এই প্রতারণা শুরু করেন। চিকিৎসকের ডাক্তারি পাশ করার শংসাপত্রটিও জাল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: কর্মহীনদের বিনামূল্যে খাবার ও টাকা দেওয়া হোক, মানবিক আরজি নিয়ে মোদিকে চিঠি অধীরের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement