সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ কলকাতায় দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এবং শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির মিছিলে তুমুল উত্তেজনা। মিছিল লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় ইট। আক্রমণকারীদের দিকে পালটা এগিয়ে যান বিজেপি সমর্থকরাও। ফলে রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে টালিগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকা।
সোমবার টালিগঞ্জ থেকে রাসবিহারীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল গেরুয়া শিবিরের মিছিল। বিজেপির দাবি, সেখানে উপস্থিত তৃণমূল সমর্থকরা মিছিলের উদ্দেশে প্রথমে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন। তারপর দেশপ্রাণ শাসমল রোডের কাছে হঠাৎই রাস্তার উলটো দিক থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। যাঁরা ইট ছুঁড়ছিলেন, প্রত্যেকের হাতেই ছিল তৃণমূলের পতাকা। এবং ‘বিজেপি হটাও’ স্লোগানও ওঠে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হলে সেই সময় অনেকেই মিছিল ছেড়ে বেরিয়ে যান। ইট বৃষ্টির ঘটনায় মেজাজ হারিয়ে মিছিল থেকে বেরিয়ে আক্রমণকারীদের দিকে এগিয়ে যান বিজেপি (BJP) সমর্থকরাও। এরপরই ওই এলাকায় থাকা বেশ কিছু বাইক ভাঙচুর করা হয় বলে খবর। দেশপ্রাণ শাসমল রোড যখন রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে তখন আশপাশে দেখা যায়নি কোনও পুলিশকর্মীকে। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
ঠিক এই কারণেই মিছিলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, আগে থেকে অনুমতি নেওয়ার পরও মিছিলের উপর আক্রমণ করে তা ভণ্ডুল করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে তৃণমূল। পুলিশ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বলেও দাবি তাঁদের। ইট বৃষ্টিতে আহত হয়েছেন বিজেপি এক সমর্থকও।
উল্লেখ্য, এর আগে পুরুলিয়া এবং নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikari) মিছিলেও একইরকম ভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। তখনও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গণতান্ত্রিক দেশে এভাবে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার বারবার চেষ্টা করছে শাসকদল। কিন্তু এসব করে সাধারণ মানুষকে আর ভুল বোঝাতে পারবে না তৃণমূল বলেই হুঙ্কার পদ্মশিবিরের।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, “দলের ছেলেরা পতাকা লাগাচ্ছিল। উলটো দিক থেকেই ইট ছুঁড়ে আসে। মসজিদের এসি ভেঙেছে ওরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ভেঙেছে। অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে বিজেপি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.