রমেন দাস: রামমন্দির উদ্বোধনের (Ram Mandir Inauguration) সম্প্রচার নিয়ে তুমুল অশান্তির পরিবেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গান্ধীভবনের বাইরে গ্রিন জোনে সবে জায়ান্ট স্ক্রিন টাঙানোর তোড়জোড় করছিলেন একদল পড়ুয়া। তাঁরা ভারতীয় সংস্কৃতির অনুরাগী বলে পরিচিত। তাঁরাই এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) ক্যাম্পাসে রামমন্দিরের উদ্বোধন সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু শুরুতেই কাটল তাল। অন্যান্য পডুয়াদের বাধায় তা দেখানোই গেল না। এনিয়ে আয়োজক পডুয়াদের অভিযোগের তিরে বাম ছাত্র সংগঠনের পাশাপাশি অধ্যাপকদের একাংশও। তাঁদের অভিযোগ, কয়েকজন অধ্যাপক তাঁদের আয়োজন ভেস্তে দিয়ে হুমকিও দেন। অশান্তকর পরিস্থিতি সামলাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রামমন্দির উদ্বোধনের সম্প্রচারের ব্যবস্থা করে ভারতীয় সংস্কৃতির অনুরাগী পড়ুয়ারা। বকলমে এবিভিপি (ABVP)। যদিও কোনও সংগঠনের ব্যানারে অনুষ্ঠান নয়। কিন্তু তাও ভেস্তে গেল। গ্রিন জোনে পড়ুয়ারা জমায়েত হয়ে জায়ান্ট স্ক্রিন বসানোর ব্যবস্থা করা হলে কয়েকজন অধ্যাপক ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা বাধা দেন বলে অভিযোগ। সেখান থেকে অনুরাগীদের তুলে দেওয়া হয়।
সৌভিক সাহা নামে পড়ুয়ার অভিযোগ, ”আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই সবকিছুর ব্যবস্থা করছিলাম। কিন্তু সেখানে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন আর অধ্যাপকদের একাংশ আমাদের হেনস্তা করে। জোর করে তুলে দেওয়া হয়। আমাদের চুল ধরেও মেরেছে। কোনও রাজনৈতিক ব্যানারে কিছু না করলেও আমাদের হুমকি দেওয়া হয়।” আদিত্য সিং নামে পড়ুয়ার কথায়, ”নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে রামের নাম করলে মার খেতে হবে! এ কেমন বিচার! পুলিশ আমাদের কথা শোনেনি। আমাদের লোককে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছে।” আরও অভিযোগ, অধ্যাপকরা নাকি হুমকি দিয়েছেন রামমন্দিরের উদ্বোধন সম্প্রচার দেখানো হলে ক্লাসে তাঁদের দেখে নেবেন!
বামপন্থী ছাত্র সংগঠন AISF সদস্য প্রিয়াংশু সাহা বলেন, ”গেরুয়া পতাকা নিয়ে উত্তেজনাকর স্লোগান দিতে থাকে। আমরাও পালটা একটা প্রতিবাদ শুরু করি। তার পর দেখতে পেলাম, এবিভিপি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসির গায়েও হাত তোলে। আমরা তখন প্রতিবাদ করি। ওদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.