ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: যেন ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল। রাজ্যের সরকারি মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সেই খবর পাওয়ার পর থেকে একটু চিন্তায় ছিলেন। ডায়াবেটিক রোগী। ইনসুলিন নিয়ে চলেন। তার উপর আবার করোনার থাবা। কিন্তু শুধুই কী তিনি? তাঁর পাশে থাকা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকেরও (Jyotipriyo Mullick) তখন বক্ষ দুরুদুরু। তাঁরাও করোনা আক্রান্ত নন তো? এই প্রশ্নই যেন কেড়ে নিয়েছিল রাতের ঘুম। তবে বুধবার মিলল স্বস্তি। কারণ করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ তাঁদের।
করোনা পরীক্ষায় উতরোলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যেরও রিপোর্ট নেগেটিভ । দু’জনেই নিরাপদ। বুধবারই রিপোর্ট পেয়েছেন দু’জনে। খাদ্যমন্ত্রী বলছেন, “এবার থেকে আর কারও পাশাপাশি বসা নয়। একেবারে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে চলব। সামাজিক দূরত্ব ঠিক যেমন মেনে চলতে হয় তাই চলব।” গত দু’দিন অফিস যাওয়া বন্ধ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার থেকে ফের অফিস যাবেন বলে জানিয়েছেন। বলছেন, “একেবারেই এসব অবহেলা করা নয়। এখন তো উপসর্গও দেখা যাচ্ছে না।”
উপসর্গ না থাকলেও করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা হেলাফেলা করার নয়। যেমন উপসর্গ মেলেনি নির্মলবাবু বা তাঁর ছেলে তীর্থঙ্কর ঘোষের ক্ষেত্রেও। সদ্য ত্রাণের কাজে জেলা থেকে ফিরেছিলেন তীর্থঙ্কর। পরীক্ষা করতে দেন তারপরই। সেই অবস্থাতেই গত ১১ জুন জেলা পরিষদ ভবনে একসঙ্গে বসে বৈঠক করেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী প্রমুখ।
তীর্থঙ্করের রিপোর্ট পজিটিভ এলে ঘরবন্দি হয়ে যান নির্মলবাবু। তাঁরও রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই সিদ্ধান্ত হয়, এই গোটা টিমটার করোনা পরীক্ষা হবে। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, নারায়ণ গোস্বামী প্রমুখের পরীক্ষা হওয়ারও কথা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুও করোনা আক্রান্ত হন। উপসর্গ না থাকায় প্রথমে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। পরে যদিও তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তবে বর্তমানে তিনি করোনা মুক্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.