সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাট থেকে অরুণাচল, এ ভারতের আনাচে-কানাচে ভরা শিল্পের ভান্ডারে। এই শিল্প-সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ইতিহাসই আমাদের গর্ব। যা বিশ্বদরবারে এ দেশের মাথা উঁচু করেছে। আর এবার বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর মুকুটে লেগেছে নয়া পালক। মিলেছে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা। সানন্দে সেই প্রতিটি শিল্পকেই এবার উদযাপন করছে চালতাবাগান সর্বজনীন।
করোনার জেরে গত দু’টি বছর বেশ ফ্যাকাসে ছিল পুজোর চেহারাটা। কিন্তু এবছর পুজোয় আবারও ফিরতে চলেছে সেই চেনা ছবি। তার উপর হেরিটেজ তকমা পেয়েছে দুর্গাপুজো। এহেন আনন্দের আবহে তাই অনন্য থিম ভাবনায় সেজে উৎসবকে সেলিব্রেট করতে চলেছে চালতাবাগান সার্বজনীন।
গত বছর বাংলার দুর্গাপুজোকে (Durga Puja 2022) হেরিটেজ ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। তবে শুধু বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবই হয়, এর আগেও ভারতের একাধিক ঐতিহ্যবাহী শিল্প, সৃষ্টি, সংস্কৃতি ও স্থাপত্য কেড়ে নিয়েছে ‘হেরিটেজ’ তকমা। উত্তরপ্রদেশের রামলীলা থেকে পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্য, কেরল থেকে রাজস্থানের লোকশিল্প, ইউনেস্কোর (UNESCO) স্বীকৃতিতে বিশ্বজনীন হয়েছে ভারতের নানা সংস্কৃতি। দুর্গাপুজোকে অনন্য সম্মান দিয়ে বাঙালিকে গর্বিত হওয়ার সুযোগ দিয়েছে ইউনেস্কো। আর তাই এ বছর এই সমস্ত লোকশিল্প ও সংস্কৃতিগুলিকেই ফুটিয়ে তোলা হবে চালতাবাগান সর্বজনীনের মণ্ডপে।
থিমের পোশাকি নাম ‘যাপনের উদযাপন’। অর্থাৎ জীবনের উদযাপন করতে চলেছে চালতাবাগান। ভারতের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ট্র্যাডিশন যেখানে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে। এই থিমের সঙ্গেই সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হবে প্রতিমা। যেখানে দেবীকে রানি রূপে তুলে ধরা হবে। রানির কাছে যেমন তাঁর রাজত্বের সমস্ত মানুষ সন্তানসম, সেভাবেই দেবী দুর্গা সকলের মা হিসেবে শোভা পাবে এই মণ্ডপে।
একই ছাদের নিচে গোটা দেশের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা শিল্প ও হেরিটেজের সাক্ষী থাকতে আপনাকে আহ্বান জানাচ্ছে চালতাবাগান সর্বজনীন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.