সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান (Amphan) পরবর্তী পরিস্থিতিতে পরিষেবা নিয়ে CESC’র বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসেছিলেন আমজনতা। তার রেশ এখনও কাটেনি। তারই মাঝে এবার মাত্রাছাড়া বিদ্যুতের বিল পাঠানোর অভিযোগে ফের কাঠগড়ায় বেসরকারি এই বিদ্যুৎ সংস্থা। সেই সমস্যার কথা নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন CESC’র দুই কর্তা। কেন এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে, তার কারণও ব্যাখ্যা করেন তাঁরা।
CESC’র দাবি, করোনা সংক্রমণের জেরে মার্চ থেকে লকডাউন (Lockdown) জারি করা হয়। তার ফলে বেশ কয়েকমাস বন্ধ ছিল মিটার রিডিং নেওয়া। স্বাভাবিকভাবেই এপ্রিল ও মে মাসে অনুমানের ভিত্তিতে বাৎসরিক গড়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের নিরিখে বিল পাঠানো হয়েছে। তবে তা বিদ্যুৎ ব্যবহারের তুলনায় অনেক কম। জুন থেকে ফের মিটার রিডিং শুরু হয়েছে। বাড়তি ইউনিট বিলে যুক্ত হয়েছে। তার উপর আবার গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ খরচ হয় তুলনামূলক বেশি। তাই অতিরিক্ত বিল দেখে বিরক্ত হচ্ছেন গ্রাহকরা।
শুধু যে আমজনতাই CESC’র বিলে বিরক্ত তা নয়। বিশাল অঙ্কের বিলের জেরে জেরবার খোদ রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও। প্রতি মাসে তাঁর ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা বিদ্যুতের বিল আসে। তবে এবার তাঁর বিল এসেছে ১২ হাজার টাকা। তার উপর আবার বহু মানুষই তাঁর কাছে বিল বেশি আসার অভিযোগ জানিয়েছেন। তাই বাধ্য হয়ে শুক্রবার দুপুরে CESC’র দুই কর্তার সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। ওই বৈঠকেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার কর্তারা। যদিও এই যুক্তিকে মোটেও ভাল চোখে দেখছেন না রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.