সংবাদ প্রতিদিন ডিজিট্যাল ডেস্ক: আগামী বছর আদমশুমারি শুরু হচ্ছে। তার আগে কেন্দ্র জানতে চায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সংক্রামক রোগীর সংখ্যা কত? এদের মধ্যে কতজন সুস্থ?আর কতজন রোগে ভুগছেন? তাই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে মেডিক্যাল কলেজে- স্বাস্থ্যব্যবস্থার যেসব ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদানে যেসব সংক্রামক রোগের চিকিৎসা হয় তা জানতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং মালদহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে ঘুরে দেখেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পের কর্তারা। সঙ্গে যদিও স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা ছিলেন। কিন্তু সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে বেশ কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের। বলা ভালো, বছরখানেক আগে রাজ্যের সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে দিল্লির সঙ্গে ব্যাপক আলোচনা হয়। কেন্দ্র ন্যাশনাল হেলথ মিশনের রাজ্যের হকের প্রায় ১,৬০০ কোটি টাকা আটকে দিয়েছিল। সুস্বাস্থ্য প্রকল্পে রোগী চিকিৎসা এবং আনুষঙ্গিক খরচ সামাল দিতে রাজ্যের কোষাগার থেকে ধাপে ধাপে মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হয়েছিল। তাই ফের ন্যাশনাল হেলথ মিশনের প্রতিনিধিদের রাজ্য সফর ঘিরে সিঁদুরে মেঘ দেখছে স্বাস্থ্য ভবন।
রাজ্য সরকারের প্রায় ২৮টি মেডিক্যাল কলেজে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা চলে। এর মধ্যে যক্ষ্মা, এইচআইভি-র মতো রোগের চিকিৎসায় রাজ্যের মতো কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দ করে। আবার পালস পোলিও টিকা কর্মসুচি পুরোটাই কেন্দ্রের উদ্যোগে হয়। এদিন দুই জেলায় কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা এইসব প্রকল্পের কাজ কেমন চলছে সেই বিষয়ে যেমন তথ্য সংগ্রহ করেছেন, তেমনই কোন কোন প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থের কতটা ব্যয় হয়েছে তাও জেনে নিয়েছেন।
স্বাস্থ্যভবনের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা পদের এক আধিকারিক জানান,”পোলিও মুক্ত রাজ্যে ঘোষিত। গত পাঁচ বছরে একটিও পোলিও আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। কিন্তু ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা রোগ নির্মূল করতে গেলে কেন্দ্রকে আরও পরিকাঠামো এবং আর্থিক সাহায্য দিতে হবে।” তাঁর কথায়, “যক্ষ্মা রোগীকে দত্তক নেওয়ার রেওয়াজকে অভ্যাসে পরিণত করতে গেলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ড্রপ আউট কেস কমাতে হবে। রোগীদের সুষম খাদ্য দিতে হবে। প্রতি ছ’মাস অন্তর রোগীকে পরীক্ষা করে মুক্ত হলে ন্যাশনাল পোর্টালে নাম তুলতে হবে। আবার নতুন রোগী পাওয়া গেলে তার নাম নিষ্ক্ষয় পোর্টালে তুলতে হবে। এই সবের জন্য যত টাকা দরকার তার সিকিভাগও রাজ্যে পায়না। কলকাতা, শিলিগুড়ির মতো শহরে টিবি এবং এইচ আই ভি রোগীর সংখ্যা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আগামী বছর থেকে আদম সুমারী শুরু হচ্ছে তার আগে এই তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.