রাহুল রায়: দীপাবলি (Diwali) ও ছটপুজোয় (Chath Puja) বাজি পোড়ানো নিয়ে নয়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। উৎসবের মরশুমে বিক্রি হওয়া বাজি কতটা পরিবেশবান্ধব তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব শুধুমাত্র রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নয়। এই দায়িত্ব সামলাবে কেন্দ্রের দুই সংস্থাও। জানিয়ে দিল উচ্চ আদালত। পাশাপাশি কলকাতার বাজি (Fire Crackers) বাজারে যাতে সবুজ বাজি বিক্রি ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। ছুটির পর এ সংক্রান্ত রিপোর্ট নেবে হাই কোর্ট।
সামনেই কালীপুজো, দীপাবলি এবং ছটপুজো। বাজির মরশুম। প্রতিবছরই এসময় পরিবেশ দূষণ রুখতে সবুজ বাজি পোড়ানোর দাবিতে আদালতে মামলা হয়। এবারও অন্যথা হয়নি। হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা শুনানি ছিল। বাংলায় সবুজ বাজি বিক্রি ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রাজ্যের সঙ্গেই দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নজরদারির দায়িত্ব দিল হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। দায়িত্ব সামলাবে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান, পেশো ও নিরিও। কেন্দ্রীয় সরকারের দু’টি আলাদা সংস্থা খতিয়ে দেখবে কোনগুলো পরিবেশবান্ধব বাজি।
পাশাপাশি কলকাতা পুলিশকেও একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। বলা হয়েছে,কলকাতায় বাজি বাজারে যাতে সবুজ বাজি বিক্রি ও ব্যবহারের ব্যাপারেও নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। বাজি নিয়ে আদালতের নির্দেশ কার্যকর হল কি না, তার রিপোর্ট দিতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে। পুজোর ছুটির পরে কোর্ট খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
সুপ্রিম কোর্ট ও পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে সবুজ বাজি তৈরি ও বিক্রির বিষয়ে সহযোগিতা ও নজরদারি করতে পারে পেশো ও নিরি। রাজ্যে এখনও সবুজ বাজি তৈরির পরিকাঠামো নেই তা বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে এদিনের শুনানিতে স্পষ্ট হয়ে যায়। ফলে বাইরে থেকে সব সবুজ বাজি আমদানি করতে হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.