অর্ণব আইচ: এবার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে ‘নাইসা’র কর্তা নীলাদ্রি দাসের ন’জন এজেন্ট। তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করেছে রাজ্য পুলিশের সিআইডি। এবার এই ন’জনকে ডেকে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিবিআই। একই সঙ্গে সিবিআইয়ের নজরে ওএমআর প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘নাইসা’র ডিরেক্টরও। গাজিয়াবাদের সংস্থা ‘নাইসা’র ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাসের সঙ্গে ওই সংস্থা ও তার ডিরেক্টর পুনিত কুমারের বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে চার্জশিট দাখিলও করেছে সিবিআই। এছাড়াও এই চার্জশিটে নাম রয়েছে সুবীরেশ ভট্টাচার্য, পর্ণা বসু, প্রসন্ন রায়, প্রদীপ সিং, চন্দন মণ্ডল ও সন্তু দাসের।
পুনিত কুমারের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের বিষয়টিও আলোচনা করছে সিবিআই। সিবিআই আধিকারিকরা জেনেছেন, শেষ পর্যন্ত ‘নাইসা’র উপর ভরসা না করে নিজের একটি সংস্থার মাধ্যমেও নীলাদ্রি দাস ওএমআর শিট প্রস্তুত করে এসএসসিকে সরবরাহ করতেন। বছর চারেক আগে যখন নীলাদ্রি দাসের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত শুরু করে, তখন তাঁর ন’জন এজেন্টের নাম সামনে এসেছিল। শিক্ষা, পরিবহণ থেকে শুরু করে রেল বা সেনায় চাকরির নাম করে বিপুল টাকা তুলেছিল ওই এজেন্টরা। ওই এজেন্টদের কাছ থেকে টাকা গিয়েছিল নীলাদ্রি দাসের কাছে। সেই তথ্য জানতে চায় সিবিআই।
সিবিআইয়ের টিম পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থানা থেকে সিআইডির করা ওই অভিযোগপত্র ও সেই মামলা সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করছে। সিবিআইয়ের স্ক্যানারে এবার পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা ওই ন’জন এজেন্ট। গোয়েন্দাদের মতে, নীলাদ্রি দাস বিভিন্ন প্রভাবশালীর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখতেন। বেশ কিছু সরকারি দপ্তরের কর্তাকে হাত করে তাঁদের মাধ্যমে ওই দপ্তরে চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন কি না, সেই তথ্য গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন। জয়ন্ত ঘড়াই, জয়নারায়ণ মণ্ডল, পুষ্পেন্দু পাত্র, অমিয় পাল, স্বপন মণ্ডল, সুমিত মণ্ডল, নিত্যানন্দ দাস, গুণধর মণ্ডল ও সুকুমার দিন্দা নামে ওই ন’জন এজেন্টকে নিজাম প্যালেসের দপ্তরে তলব করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.