অর্ণব আইচ: সিবিআইয়ের নজর এড়াতে পুকুরে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন মোবাইল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি, পুকুরের জলে ছেঁচে দু’টি মোবাইল উদ্ধার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইল দু’টি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠাচ্ছে সিবিআই। জলে ডুবে থাকায় মোবাইল দু’টি আপাতত কাজ করছে না। তাই সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে মোবাইলগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠাচ্ছে সিবিআই।
মোবাইল দু’টি ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানোর জন্য় আদালতের আবেদন করেছিল সিবিআই। তাদের দাবি, মোবাইলে লুকিয়ে রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য।
এদিন আলিপুর আদালত সেই অনুমতি দিয়েছে। ফলে শীঘ্রই মোবাইল দু’টি ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হবে।
শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে টানা প্রায় ৩ দিন ধরে তল্লাশি চালায় সিবিআই। উদ্ধার হয়েছে অনেক কিছুই। সিবিআই জেরা চলাকালীন নিজের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনই তিনি ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন পুকুরে। সেই পুকুর (Pond) ছেঁচে দু’টি ফোন উদ্ধার হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এতটা সময় জলের নিচে থাকার পরও মোবাইলগুলির কার্যকারিতা কতটা থাকবে? এ বিষয়ে নানা জনের নানা মত। দ্বিধাবিভক্ত প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরাও। বলা হচ্ছে, ফোনের তথ্য সুরক্ষা নির্ভর করছে বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর। প্রথমত, ফোনটি অ্যাপলের (Apple) অর্থাৎ আই ফোন হলে তথ্য উদ্ধার হওয়ার আশা রয়েছে অনেকটাই। কারণ, এই ফোনের প্রযুক্তি অনেকটাই উন্নত। তাই জলে পড়ে থাকলেও তথ্য নষ্ট হয় না। আর সূত্রের খবর, জীবনকৃষ্ণ সাহা নিজে আধুনিকতম মোবাইল ফোন (Mobile Phone)ব্যবহার করতেন।
বিশেষজ্ঞদের আরেকাংশের মতে, ফোন হার্ডওয়্যার (Hardware) কতটা কাজ করবে, তার উপর নির্ভর করছে সিবিআইয়ের হাতে তথ্য আসার বিষয়টি। জলে ভিজে হার্ডওয়্যার বিকল হলে, আভ্যন্তরীণ তথ্য উদ্ধার করা কঠিন হবে। ফোনটি যদি সুইচড অফ অবস্থায় জলে ফেলা হয়, তাহলে অবশ্য সেই চিন্তা বিশেষ নেই। কিন্তু অন থাকা অবস্থায় তা জলে পড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা ষোল আনা। তার মধ্যেকার স্লট ও ইন্টারনাল সার্কিট নষ্ট হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.