ফাইল ছবি
শুভঙ্কর বসু: সিবিআই (CBI) হেফাজত এড়াতে ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গরু পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। সওয়াল জবাব শেষে শুক্রবার এনামুলের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
বিচারপতির নির্দেশ, তদন্তপ্রক্রিয়া যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তকে হেফাজতে রাখার প্রয়োজন রয়েছে। ১৯ তারিখ অভিযুক্তকে হেফাজতে পাবে সিবিআই। ২৪ তারিখ তাকে আসানসোলের বিশেষ আদালতে হাজির করতে হবে। সিবিআইয়ের হয়ে হাই কোর্টে সওয়াল করেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর। তিনি বলেন, “এই পাচার চক্রের জাল কতদূর ছড়িয়ে রয়েছে, কারা এর সঙ্গে যুক্ত এবং এর মোডাস অপারেন্ডি জানতে অভিযুক্ত এনামুল হককে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।” এনামুলের তরফে অবশ্য আইনজীবী ফারুক রাজাক দাবি করেন, এনামুল হক প্রথম থেকেই তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করছেন। তিনি কখনই আইন অমান্য করেননি। এমনকি কোভিড পরীক্ষার পর নির্দেশ মতো বিশেষ আদালতে হাজিরাও দিয়েছেন। ফলে তাকে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ এর প্রয়োজনীয়তা নেই। কিন্তু আদালত এই দাবি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেনি।
গোটা রাজ্যে গরু পাচারের জাল ছড়িয়ে রয়েছে। এনামুল ছাড়াও ইতিমধ্যেই বিএসএফ কমান্ডেন্ট সতীশ কুমারকেও গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। এবার দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিল্লি থেকে এনামুলকে গ্রেফতারের পরই জানা যায়, এই পাচার চক্রের সঙ্গে রাঘব বোয়ালরা যুক্ত। বিএসএফ ও শুল্ক দপ্তরের একাধিক কর্তাব্যক্তির মদতে সীমান্তে গরু পাচার চলত। ব্যবসায়ী রাজেন পোদ্দার ও বিএসএফ কমান্ডেন্ট সতীশ কুমারের থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও পেয়েছেন সিবিআই কর্তারা। সিবিআই-এর সন্দেহের তালিকায় রয়েছে বনগাঁ, বসিরহাট, মুর্শিদাবাদ সীমান্ত সংলগ্ন বেশ কিছু ব্যবসায়ী। তবে সারা রাজ্যে গরু পাচারের এই জাল ছড়িয়ে দেওয়ার মূল পাণ্ডা এনামুলই। তবে এখনও পাচার চক্রের অনেক মাথাই অধরা। এনামুল ও সতীশকে জেরা করে তাদের নাম বের করতে চাইছে সিবিআই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.