ফাইল ছবি
সুব্রত বিশ্বাস: গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত পলাতক ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রর (Vinay Mishra) মা ও বাবাকে সমন পাঠাল সিবিআই (CBI)। আগামী বুধবার কলকাতা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির নিজাম প্যালেসের দপ্তরে তাঁদের উপস্থিতি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
সিবিআই সূত্রে খবর, ‘LTB’ নামের একটি সংস্থার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন বিনয় মিশ্রর মা ও বাবা। ওই সংস্থা থেকে বিনয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েকবার মোটা অঙ্কের টাকা জমা পড়েছে। সেই সংক্রান্ত লেনদেন ও সংস্থার আয়ের উৎস নিয়ে গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রর বাবা ও মা-কে জেরা করতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের একাংশের মতে, বেশ কয়েকটি ভুয়ো সংস্থার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গরু পাচারের টাকা লেনদেন করা হত। তদন্তকারী সংস্থাগুলির চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ঘুরে ওই টাকা শেষমেশ বিনয়ের কোনও বিদেশি ব্যাংকের খাতায় জমা পড়ত। শুধু তাই নয়, রাজ্যের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রী ও আমলাদের নামেও মোটা টাকা আসত। সবমিলিয়ে, এই ‘মানি ট্রেল’ বা টাকা পাচারের পথ খুঁজতে তৎপর হয়েছেন গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর থেকেই বিদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন বিনয় মিশ্র। গত জুন মাসে সিবিআইয়ের (CBI) দেওয়া ‘রক্ষাকবচ’ সংক্রান্ত প্রস্তাব মেনে নিয়ে দেশে ফিরতে রাজি হন বিনয় মিশ্র। যদিও বিষয়টির অগ্রগতি নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। মনে করা হচ্ছে, বিনয় এখন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুতে রয়েছেন। সিবিআই বিনয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের কাছে যে রেড কর্নার নোটিস জারির আবেদন জানিয়েছিল তা এখনও কার্যকর হয়নি। প্রায় মাস ৬ আগে, কয়লা (Coal scam) ও গরু পাচার (Cattle smuggling) কাণ্ডের কিনারায় সিবিআইয়ের তৎপরতা দেখে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্র বাংলা ছেড়ে মুম্বই হয়ে পালিয়ে যান দুবাইয়ে। এমনই শোনা গিয়েছিল সেসময়। এরপর একাধিকবার তিনি ভিনদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করেই বারবার গা ঢাকা দিয়েছেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তার ভাই বিকাশ মিশ্রকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। এই অবস্থায় তাকে জালে আনতে সিবিআই ইন্টারপোলের কাছে রেড কর্নার নোটিস জারি করার আবেদন জানায়। সেইমতো, রেড কর্নার নোটিসও জারি করা হয়। তারপর দীর্ঘদিন পেরিয়ে যাওয়ায় বিনয় মিশ্রের নাগাল পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.