অর্ণব আইচ: ভুয়ো শংসাপত্র বানিয়ে আধাসেনায় চাকরি! অভিযোগ উঠতেই কোমর বেঁধে নেমেছে সিবিআই। সেই সূত্র ধরে শনিবার কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার ৮ জায়গায় হানা দিল সিবিআই। চলল তল্লাশিও। অভিযোগ, ভুয়ো ডমিসিল শংসাপত্র ব্যবহার করে আধাসেনায় নিয়োগ পেয়েছেন অনেকে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্ত নেমেছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, ভুয়া শংসাপত্র দিয়ে আধা সামরিক বাহিনীতে চাকরি পেয়েছে পাক নাগরিকরাও। তারই তদন্ত শুরু করে যে ব্যক্তিরা ভুয়া শংসাপত্র তৈরির সঙ্গে জড়িত, তাদের সন্ধানেই চলে তল্লাশি। কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন জায়গায় এই ভুয়া শংসাপত্র তৈরি হয় বলে অভিযোগ পেয়েছে সিবিআই। এদিন দুই জেলার মোট আট জায়গায় হানা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। ভুয়ো ডমিসিল সার্টিফিকেট বা শংসাপত্র তৈরির চক্রের মাথাদের বাড়িতে চলে তল্লাশি। এর মধ্যে অন্য়তম বসিরহাটের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রজতকান্তি মণ্ডল। তিনি জেলাশাসকের দপ্তরের তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির দপ্তর দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক পদে নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর বাড়িতে আসে সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসসি, এসটি ও ওবিসি সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এই রজতের বিরুদ্ধে।
শনিবার তল্লাশি করার জন্য সিবিআই কর্তারা আগাম তাঁরা যান বসিরহাট থানায়। সেখান থেকে বসিরহাট থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সোজা চলে যান বসিরহাট পুরসভার ৫নং ওয়ার্ডের নৈহাটিতে। বাড়ির ভিতরে ৫ ঘন্টা তল্লাশি চলে। এর পর বাড়ির সামনে একটি চারচাকা ও দুটি মোটর বাইকের মাইল মিটার থেকে শুরু করে সমস্ত কাগজপত্র পরীক্ষা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তার পর আবার ঘরে ভিতরে চলে যান। তদন্তের স্বার্থে কোনওরকম ভাবে মুখ খুলতে চাইছেন না সিবিআই কর্তারা।
তবে জানা গিয়েছে, সিবিআই এই দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি অভিযান চালালেও রজতের বাড়ি থেকে বিশেষ কিছু পায়নি। পরে রজতকান্তি মণ্ডল জানান, সিবিআই সকালে তার বাড়িতে আসে এবং তার বিভিন্ন নথি সহ একাধিক কাগজপত্র দেখতে চায়। তিনি তাদেরকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেন। জানা গিয়েছে, এই রজত মণ্ডলকে তার বিভাগ থেকে শোকজ করা হয় বেশ কিছুদিন আগে। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “সেটা অফিসিয়াল ব্যাপার। সেটা আমি অফিসে উত্তর দেব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.