Advertisement
Advertisement
Anubrata Mandal

Anubrata Mandal: বীরভূম থেকেই নিয়ন্ত্রিত হত মুর্শিদাবাদের গরু পাচারচক্র! অনুব্রতকে জেরা করে দাবি সিবিআইয়ের

গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের।

CBI grills Anubrata Mandal, claims revealing massive cattle smuggling racket | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 18, 2022 11:36 am
  • Updated:August 18, 2022 2:02 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চক্রের বিস্তার যে বহুদূর, তা বোঝা গিয়েছিল আগেই। এবার সেসব যোগসূত্রের জট খুলছে ধীরে ধীরে। গরু পাচার চক্রে ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তার আগে তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, ব্যবসায়ী এনামুল হক, বিএসএফ (BSF) কমান্ডান্ট সতীশ কুমারদের একে একে জালে এনেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। আর তারপর তাঁদের হাতে আসছে একাধিক তথ্য। গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তারির পর সিবিআই জেরাপর্ব শুরু করেছে। তাতে একটা বিষয় ক্রমশ স্পষ্ট যে, গরু পাচার চক্রের খুঁটি পোঁতা বীরভূমেই (Birbhum)। এখান থেকেই নিয়ন্ত্রিত হতো গরু পাচারের কারবার। সায়গল এবং লতিফ – দু’পক্ষের হয়ে ‘ডিল’ করত এই দু’জন। এছাড়া সিবিআইয়ের নজরে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, গুসকরার পশুহাট। প্রসঙ্গত, এই তিনটি এলাকার পর্যবেক্ষক ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।

সিবিআই সূত্রে দাবি, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সীমান্ত এলাকায় যে গরু পাচার চক্র সক্রিয় ছিল, তা নিয়ন্ত্রণ করা হতো পুরোপুরু বীরভূম থেকেই। অনুব্রত মণ্ডলের নাম এই মামলায় জড়ানোর পর তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তাঁর হয়ে পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। অন্যদিকে ব্যবসায়ী এনামুল হকের (Enamul Hoque) তরফে পাচারের কাজ সামলাত ইলামবাজার হাটের দালাল শেখ আবদুল লতিফ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভূমিপুত্র না হলেও মিলবে ভোটাধিকার, জম্মু ও কাশ্মীরে ঐতিহাসিক ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের]

সূত্রের দাবি, সায়গল হোসেনের মা লতিফা খাতুনের নামে থাকা একটি সম্পত্তি দু’-দু’বার হাতবদল করে কম দামে কেনা হয়েছে বলে নথিতে দেখানো হয়। এই সম্পত্তি বিকিকিনির বিনিময়ে ইলামবাজারের হাট থেকে প্রচুর গরু নিজের হাতে নেয় এনামুল। জঙ্গিপুর শুল্ক কার্যালয়ে ১৬ বার নিলামে অংশ নেয় লতিফ। এসবই এনামুলের নির্দেশে হয়েছে বলে দাবি। গরুগুলির জন্য মোট ৭০-৮০ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়। ওই সব গরু বাংলাদেশে পাচার হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘পড়ুয়াদের কাছে জনপ্রিয় সুকন্যা’, TET বিতর্কের মাঝেই দাবি বোলপুরের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের]

এদিকে, অনুব্রত, তাঁর মেয়ের সম্পত্তি ও আত্মীয়দের প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট (FD) ফ্রিজ করল সিবিআই।  এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ৬ টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে নোটিস, ১০-১২ জনের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে অনুমান। 

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement