অর্ণব আইচ: ফোন পুকুরে ফেলেও লাভ হল না। বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ফোনের যাবতীয় ডেটা উদ্ধার করে ফেললেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, প্রচুর চ্যাট হিস্ট্রি ও কল রেকর্ডিং পাওয়া গিয়েছে। এই তথ্য নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের শিকড়ে পৌঁছতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সিবিআই পৌঁছেছিল মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে। এরকই কার্যত নাটকীয় পরিবেশ তৈরি হয়। সিবিআই দাবি করে, নিজের ফোন নাকি জানলা থেকে পুকুরে ফেলে দেন বিধায়ক। যা সন্দেহ বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ। ফোন হাতে পেতে মরিয়া সিবিআই শুরু করে পুকুরের জল সরিয়ে ফেলার কাজ। প্রায় দেড় দিনের চেষ্টায় উদ্ধার হয় ফোন। গ্রেপ্তার করা হয় বিধায়ককে। কিন্তু, এক্ষেত্রে ওই দুটি ফোনে থাকা তথ্য আদৌ মিলবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। কারণ, দীর্ঘক্ষণ জলে ছিল ফোনদুটি। সিবিআইয়ের দিল্লির ফরেনসিক ইউনিটের তরফে নিজাম প্যালেসে জানানো হয়েছে, প্রচুর চ্য়াট ডিলিট করেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। তা উদ্ধার করা গিয়েছে। ফলে এবার আরও বিপাকে জীবনকৃষ্ণ, তা বলাই বাহুল্য। জানা যাচ্ছে, দুর্নীতি মামলায় ধরপাকড় শুরু হতেই বহু তথ্য ডিলিট করেন বিধায়ক।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, তাঁর মক্কেল মোবাইল পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেননি। কারণ, তল্লাশি শুরুর মুহূর্তেই মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। তাই পুকুরে মোবাইল ছুঁড়ে ফেলার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আইনজীবীর আরও যুক্তি, যদি মোবাইল ছুঁড়ে ফেলে দেন বিধায়ক সেক্ষেত্রে সিবিআই কী পদক্ষেপ নিয়েছে? মোবাইল যে বিধায়ক পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন, তার কোনও প্রমাণ রয়েছে? তাঁর দাবি, শুধুমাত্র বিধায়ককে কালিমালিপ্ত করার উদ্দেশে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.