স্টাফ রিপোর্টার: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলির বেশিরভাগ আসনই ফাঁকা রয়ে গিয়েছে। সেসব আসন ভরাতে কলেজে ভরতি সময়সীমা বাড়ানো হল আরও ১০ দিন। সোমবার শিক্ষা দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, ১০ জুলাই পর্যন্ত কলেজগুলিতে ভরতির সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হল।
উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তরফে অবশ্য আগেই অর্ডার জারি করে জানানো হয়েছিল, অনেক আসন খালি থাকলে ফের নতুন করে সব কলেজে ভরতি পোর্টালগুলি চালু করতে হবে। ফের শুরু করতে হবে ভরতির প্রক্রিয়া। তার পরেই এই সময় বাড়ানোর নির্দেশিকা জারি করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে কলেজভিত্তিক অনলাইনে ভরতি ব্যবস্থা চালু হয়। তবে এবারই প্রথম পড়ুয়াদের সশরীরে কলেজে হাজিরা ছাড়াই পোর্টালের মাধ্যমে সরাসরি ভরতির পদ্ধতি চালু হয়েছিল। আগে মেরিট লিস্টে নাম বেরোলে নথিপত্র নিয়ে কলেজে হাজির হয়ে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া পার করে ফি জমা দিতে হত। এবার সেই ফিও অনলাইনে মিটিয়ে প্রভিশনাল অ্যাডমিশন হয়ে যাচ্ছে। ক্লাস শুরুর প্রথম দিন হবে ভেরিফিকেশন। তখন কোনও কারণে নথির গরমিল ধরা পড়লে ভরতি বাতিল হতে পারে।
কিন্তু কোন পড়ুয়া কটি কলেজে ভরতি হয়েছে, এই ব্যবস্থায় ভেরিফিকেশনের আগে (অর্থাৎ ক্লাস শুরুর আগে) তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কাছেও অজ্ঞাত থেকে যাচ্ছিল। ক্লাস শুরুর পরই কেবল নিশ্চিত হওয়া সম্ভব। একজন পড়ুয়া একগুচ্ছ কলেজে ভরতি হয়ে থাকলেও তা জানা অসম্ভব কলেজগুলির পক্ষে। একাধিক জায়গায় ভরতি হয়ে থাকার পরিস্থিতিতে অনেক কলেজের বহু আসন আচমকা ফাঁকা হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। তা দেখেই বহু কলেজের অধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেঁধে দেওয়া আবেদনের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বাধ্য হয়ে ফের ভরতির পোর্টাল খুলেছিলেন।
অন্যদিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত মহানগরের বেশ কিছু কলেজে আবার সংরক্ষিত বহু আসনই ফাঁকা পড়ে। আগে ৭ জুলাই ভরতির শেষ দিন নির্ধারিত করা হয়েছিল। কিন্ত, এই প্রক্রিয়ার মাঝপথে আসন ফাঁকা থাকার আশঙ্কা দেখা দেয়। অধ্যক্ষদের বক্তব্য, একটি কলেজে পড়ুয়া ক্লাস শুরু করে দিলে অন্য কলেজে ভরতি হওয়া আসনগুলি ফাঁকা পড়ে থাকবে। যে আসনগুলি ফাঁকা পড়ে থাকবে তাতে আর নতুন করে ভরতি করা যাবে কিনা সে নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা ছিল না। কিন্তু, সোমবার এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.