ক্ষিরোদ ভট্টাচার্য ও পারমিতা পাল: নির্বাচনের দাবিতে গত ১১ দিন ধরে অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা। অবশেষে সোমবার, ১২ দিনের মাথায় সেই অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন পাঁচ অনশনকারী।
সমাজকর্মী ও চিকিৎসক বিনায়ক সেনের হাতে ফলের রস পান করে অনশন ভাঙেন পড়ুয়ারা। কেন শেষমেশ অনশন প্রত্য়াহারে রাজি হলেন তাঁরা? মেডিক্যাল কলেজের (Calcutta Medical College) আন্দোলনকারীরা জানান, আজ স্বাস্থ্য প্রশাসনের মুখাপেক্ষী থাকবেন না তাঁরা। নিজেরাই ছাত্র সংসদ নির্বাচন করবেন। এমবিবিএসের চারটি বর্ষে ৫টি করে মোট ২০টি পদে নির্বাচন হবে। যা পরিচালনা করবেন চার বিশিষ্ট ব্যক্তি। এই মর্মেই অনশন প্রত্যাহার করেন তাঁরা।
আন্দোলনকারীদের একজন জানান, “ছাত্রছাত্রী ও কর্তৃপক্ষ মিলে প্রথমে ২২ ডিসেম্বরকে নির্বাচনের দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছিল। যা নোটিস আকারে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়। কিন্তু অথরিটি তা মৌখিকভাবে ফিরিয়ে নেয়। তারা নিজেদের কর্তব্য পালনে ব্যর্থ। কিন্তু সমস্যা মেটাতে আজ সাধারণ সভার আয়োজন হয়। যেখানে পড়ুয়ারা উপস্থিত ছিল। এখানেই সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে নির্ধারিত দিনেই ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবে।” কে মান্যতা দেবে এই নির্বাচনকে? ওই ছাত্র বলেন, “আমাদের নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে সমাজের চার বিশিষ্ট নাগরিককে জুরি হিসেবে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন, কল্যাণ গঙ্গোপাধ্যায়, সুজাত ভদ্র, ডা. বিনায়ক সেন ও অম্বিকেশ মহাপাত্র। কলেজর প্রত্যেক ছাত্রই এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। নির্বাচনের মতো মনোনীতদের তালিকা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হবে।” কলেজের কোনও ছাত্র যদি কোনও ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন, তিনিও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন।
ইতিমধ্যেই কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা লিখিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন পড়ুয়ারা। কিন্তু পড়ুয়াদের সঙ্গে মতোবিরোধের জেরে গত কয়েকদিন অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ কলেজে আসছেন না। তাই এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাননি ছাত্রছাত্রীরা। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপের অপেক্ষা না করে নিজেদের মতো করেই জট কাটানোর চেষ্টা করলেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.