অভিরূপ দাস: করোনা পরিস্থিতিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজকে (Calcutta Medical College) কোভিড হাসপাতাল হিসাবে ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, কোভিডের সঙ্গে অন্য রোগীদেরও পরিষেবা দিতে হবে। তা খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছিল স্বাস্থ্যভবন। কিন্তু তার মধ্যেই বিতর্ক বাড়াল, মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন ও পিজিটিদের বেতন বন্ধের নোটিস। বেতন দেওয়া হবে না তাঁদের জানিয়ে নোটিস টাঙিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। যা ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষোভে ফুঁসছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু কেন বেতন দেওয়া হবে না? তার কারণ হিসাবে মেডিক্যাল কলেজ জানিয়েছে, তাদের কাছে টাকা নেই। টাকা এলে বেতন দেওয়া হবে। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের যুক্তি মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, আন্দোলন বন্ধ করার জন্যই এই নোটিস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এখন দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র হয়েছে স্নায়ুযুদ্ধ। উল্লেখ্য, কোভিডের সঙ্গে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অন্য রোগীদেরও পরিষেবা দেওয়া হোক। এই দাবিতে গত ১ জুলাই আন্দোলন শুরু করেন। জুনিয়র ডাক্তাররা। হাসপাতালের এমার্জেন্সি ওয়ার্ডের সামনে শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ। রেসিডেন্টস ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অর্চিষ্মান ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘স্বাস্থ্যভবন থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল আমাদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখা হবে। এমনকি ডা. প্লাবন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি আট কমিটির সদস্য তৈরি করে আমাদের সঙ্গে কথা বলার বিষয়েও জানানো হয়েছিল। কিন্ত কেউ আসেননি। কেউ দেখা করেননি।’ জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার সমস্যার সমাধান করতে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে যান স্বাস্থ্যদপ্তরের ২ অধিকর্তা। কিন্তু কথা বলতে গিয়ে মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের ঘরে ঘেরাও হয়ে যান তাঁরা।
বেতন বন্ধের সিদ্ধান্তে জুনিয়র ডাক্তাররা ভীষণ ক্ষীপ্ত। এই অবস্থা চলতে থাকলে আরো বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, ‘এই আন্দোলন সম্পূর্ণ রূপে জুনিয়র ডাক্তারদের। আমি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’ এদিকে, সূত্রের খবর, কোনওভাবেই জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মানতে নারাজ স্বাস্থ্যভবন। কোভিড হাসপাতাল হিসেবে চিহ্নিত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অন্য কোনও চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.