ফাইল ছবি
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: জট তো খুললই না। উলটে বৃহস্পতিবার অনশনরত ছাত্রদের সমর্থনে অভিভাবকরাও প্রতীকী অনশনে শামিল হচ্ছেন। এরপরেও ছাত্র সংসদের নির্বাচন ঘোষণা না হলে শনিবার মেডিক্যালে নাগরিক কনভেনশন হবে। সবমিলিয়ে মেডিক্যাল কলেজের ছয় ছাত্রর অনশন ঘিরে চাপানউতোর অব্যাহত। এদিকে এদিন মেডিক্যাল কলেজের পাশে ট্রপিক্যাল মেডিসিনে আসছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী-সহ স্বাস্থ্যভবনের শীর্ষ নেতৃত্ব। এরপরই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সমাধান সূত্র বের করতে মেডিক্যাল কলেজে যাবেন তাঁরা?
মেডিক্যালে পড়ুয়াদের অনশন এদিন আটদিনে পড়ল। বস্তুত, অনশন প্রত্যাহার করতে মেডিক্যাল কলেজ কতৃর্পক্ষ বুধবারও আবেদন করেন। সন্ধেয় অধ্যক্ষ ডা. ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের চেম্বারে ফ্যাকাল্টি অধ্যাপকরা দীর্ঘসময় আলোচনা করেছেন কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। দিনভর অপেক্ষার পর সন্ধেয় যে যার মতো ফিরে যান। অনশনরত পড়ুয়াদের তরফে অনিকেত কর জানান, মেডিক্যালের ছাত্র সংসদ গঠনের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে প্রায় সব কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়। সমর্থন জানিয়েছেন, কলেজের সিনিয়র সদস্যরাও। তাই বৃহস্পতিবার অভিভাবকরাও ১২ঘণ্টার প্রতিকী অনশনে বসবেন। সকাল ন’টা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত অনশন করবেন। শনিবার নাগরিক কনভেনশন।’’
অনিকেতের অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্যদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী, দপ্তরের সচিব আলোচনা করতে এসেছেন। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি বলে জানিয়েছেন। কিন্তু কেন ২২ তারিখ ভোট সম্ভব নয় তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি. এমনটা স্পষ্ট নয়। অনিকেতের অভিযোগ, “১৩ তারিখের মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য অন্য একটি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াকে হেনস্তা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি অনশনরত পড়ুয়াদের আবেদন সবাই সহানুভুতির সঙ্গে বিবেচনা করুন।”
এদিকে ওয়েস্টবেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল সূত্রে খবর, মেডিক্যালের অনশন ও বিক্ষোভে কোনও পিজিটি যোগ দিয়েছে কী না তা দেখা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে রোজ আউটডোর ও বিভিন্ন বিভাগে ভরতি হওয়া রোগীদের ঠিকভাবে দেখা হচ্ছে কী না। ডিউটি রোস্টার মেনে পিজিটি’রা কাজে যোগ দিচ্ছেন কী না? রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান প্রবীন চিকিৎসক ডা সুদীপ্ত রায়ের কথায়, দাবি আদায়ের জন্য শিক্ষকদের দিনের পর দিন আটকে রাখা গণতান্ত্রিক আন্দোলন নয়।” বিক্ষোভ চলাকালীন মেডিক্যালের সেন্ট্রাল ল্যাবরেটির বন্ধ ছিল। সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করে হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ। সেই রির্পোট এদিন জমা পড়েছে। এদিনও যৌথমঞ্চের তরফে চিকিৎসক সংগঠনের নেতারা সহমর্মিতা জানাতে আসেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.