Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা

বাবা মারা গিয়েছেন, ছ’দিন পর জানতে পারল ছেলে, ফের গাফিলতি কলকাতা মেডিক্যালে

কারও সঙ্গে যেন এমনটা না হয়, একথাই বলে চলেছে মৃতের ছেলে।

Calcutta Medical College faces question on patient death again
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:July 14, 2020 5:21 pm
  • Updated:July 14, 2020 5:22 pm  

অভিরূপ দাস: গত বৃহস্পতিবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Calcutta Medical College) বাবাকে ভরতি করেছিলেন যুবক। এরপর যতবার ফোন করেছেন হাসপাতালের তরফ থেকে বলা হয়েছে, স্থিতিশীল আছেন রোগী। টানা ছ’দিন পর বাবার খোঁজে হাসপাতালে ছেলে জানতে পারলেন ভরতির দিনই মারা গিয়েছেন প্রৌঢ়! মর্মান্তিক এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা।

ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। একবছর ধরে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হাওড়ার সলপের অজয় মান্না। জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে তাঁর অল্প অল্প জ্বরও ছিল। বৃহস্পতিবার শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় প্রথমে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অজয়বাবুকে। সেখানে পরীক্ষার পর জানানো হয় তাঁর করোনার (Corona Virus) উপসর্গ রয়েছে, এমআর বাঙুরে নিয়ে যেতে হবে। অ্যাম্বুল্যান্সে করে রোগীকে এমআর বাঙুরে নিয়ে গেলে তাঁরা জানায়, সেখানে শুধুমাত্র করোনা পজিটিভ হলেই ভরতি রাখা যায়। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। করোনা উপসর্গ থাকায় অজয়বাবুকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি করা হয়। প্রাথমিকভাবে এই ওয়ার্ডে রেখেই করোনা টেস্ট করা হয়। পজিটিভ হলে তবে ভরতি করা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দুস্থদের অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলছে পঞ্চায়েত প্রধান, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব কৃষ্ণেন্দু]

ভরতির পর হাসপাতালের তরফ থেকে রোগীর পরিবারকে বলা হয়, বাড়ির কারও থাকার প্রয়োজন নেই। সেইসঙ্গে দিয়ে দেওয়া হয় হেল্প লাইন নম্বরও। সেই নম্বরে নিয়মিত ফোন করলে বলা হত, “অজয়বাবু স্থিতিশীল আছেন।” ছ’দিন পর গত মঙ্গলবার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে হাসপাতালে যান অজয়বাবুর ছেলে রবিন। গ্রিন বিল্ডিংয়ের ‘করোনা সাসপেক্ট’ ওয়ার্ডে গিয়েই তাঁর চক্ষুচড়কগাছ। অন্য লোক শুয়ে আছে বাবার বেডে। ওই যুবকের কথায়, “দেখেই আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। অসুস্থ বাবা কোথায়  গেল?” তড়িঘড়ি তিনি যান সুপারে ঘরে। জানতে পারেন তাঁর বাবা আপাতত মর্গে। গত বৃহস্পতিবারই মারা গিয়েছেন তিনি। এখানেই প্রশ্ন উঠছে বৃহস্পতিবার মৃত্যুর পর কেন তাঁর পরিবারকে কিছু জানানো হল না? কেন বারবার বলা হল তিনি স্থিতিশীল? এই ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের স্বাস্থ্য কর্মীদের সমন্বয়ের অভাবেই দায়ী করছেন অনেকে। তবে মৃতের ছেলের কথায়, “আমাদের সঙ্গে যা হল এমনটা যেন আর কারও সঙ্গে না হয়।”

[আরও পড়ুন: ব্যবসায়িক সম্পর্কে টানাপোড়েন থেকে আত্মহত্যা, বিধায়কের মৃত্যুতে নয়া দাবি পুলিশের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement