Advertisement
Advertisement
Calcutta High Court Gangasagar mela

করোনা কালে গঙ্গাসাগরে ই-স্নান নাকি পুণ্যডুবে ছাড়? বুধবার সিদ্ধান্ত জানাবে হাই কোর্ট

ই-স্নান নিয়ে লাগাতার প্রচার চালাতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত।

Calcutta High Court to take decision on next Wednesday over Gangasagar mela। Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 8, 2021 6:25 pm
  • Updated:January 8, 2021 10:18 pm  

শুভঙ্কর বসু: এবার গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) শুধুই ই-স্নান নাকি পুণ্যডুব তা জানা যাবে সংক্রান্তির ঠিক আগের দিন অর্থাৎ আগামী বুধবার। ওইদিনই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাই কোর্ট। মেলাকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার যে স্বাস্থ্যবিধি বা প্রস্তুতি নিয়েছে তাতে প্রাথমিকভাবে সন্তুষ্ট হাই কোর্ট। তবে ই-স্নান কেন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না শুক্রবার মামলার শুনানিতে তা জানতে চেয়েছে প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চ।

ই-স্নান নিয়ে লাগাতার প্রচার চালাতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)। বেঞ্চের অন্তর্বতী নির্দেশ, কেউ জলে না নামেন সে বিষয়ে সতর্ক করে শনিবার থেকে লাগাতার মাইকে প্রচার চালাতে হবে। এই পরিস্থিতিতে জলে নামা কতটা ক্ষতিকর হতে পারে তা মানুষকে বোঝাতে হবে। মানুষ যাতে ই-স্নানে আগ্রহী হন তার ব্যবস্থাও করতে হবে রাজ্যকে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন মেলাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের ব্যবস্থাপনা হলফনামা আকারে জানাতে হবে মুখ্যসচিবকে। সেইসঙ্গে গঙ্গাসাগর যেন দূষিত না হয় সেদিকেও নজর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জানুয়ারির শুরুতেই যেন গ্রীষ্মকাল, কবে ফিরবে শীতের আমেজ?]

এদিন মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণ রাজ্যের কাছে জানতে চান, “ই-স্নানকে কেন বাধ্যতামূলক করা হয়নি? এত মানুষ একসঙ্গে সাগরে নামলে একটি ডুবই মহামারীর জন্য যথেষ্ট হবে। জল স্পর্শ না করে জল পেলে ক্ষতি কোথায়?” বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “ই-স্নান বাধ্যতামূলক কেন হবে না? পুরী-সহ বিভিন্ন স্থানে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক ছিল। এক্ষেত্রে সেটা সম্ভব নয়। কারণ, এখানে শুধু মন্দিরে পুণ্যার্থীরা যান না। বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক মানুষ আসবেন।”

আদালতের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, একসঙ্গে যাতে অনেক মানুষের জমায়েতে না হয় তা নজরে রাখা হবে। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে যে কিয়স্ক থাকবে সেখান থেকে যাতে পুণ্যার্থীরা জল নিতে পারে সে ব্যবস্থা হবে।” প্রধান বিচারপতি তখন আরও বলেন, “শবরীমালায় যদি স্নান বন্ধ হয় এখানে নয় কেন? করোনার সময় মন্দির, মসজিদ, গির্জা তো বন্ধ ছিল। মানুষ যাননি। আমার কাছে হাই কোর্ট মন্দির। এখানে যে স্যানিটাইজার গেটে দেওয়া হয় সেটাই চরণামৃত।” যদিও অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর তখন বলেন, ইতিমধ্যেই অনেক পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে দিয়েছেন। মামলাকারী অজয় দের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “গঙ্গাসাগর সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে তাতে যাবতীয় ব্যবস্থা করতে পারে রাজ্য সরকার।” 

[আরও পড়ুন: রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কাটল জট, ১৫ দিনের মধ্যে শূন্যপদ পূরণের নির্দেশ আদালতের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement