Advertisement
Advertisement
upper primary

অভিযোগের পাহাড়, হাই কোর্টের নির্দেশে ফের থমকে গেল উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ

নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কমিশনে ৪০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে।

Calcutta High Court stays upper primary teacher employment again | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:November 10, 2021 4:34 pm
  • Updated:November 10, 2021 8:24 pm  

শুভঙ্কর বসু: অভিযোগের গেরোয় ফের থমকে গেল উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক ( Upper primary Teacher) নিয়োগ প্রক্রিয়া। আপাতত নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। যার জেরে ফের বিশ বাঁও জলে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া।

বুধবার হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানায়, নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কমিশনে ৪০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। কমিশনকে সেই সময় দিয়েছে হাই কোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য কমিশনকে আরও তিন মাস সময় দেওয়া হল। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই নিয়োগ করতে পারবে না কমিশন। হাই কোর্টে এই মামলার শুনানি ১৫ সপ্তাহ পর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শুধু আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নয়, অভ্যাসবশত একই দিন ৭ বিশিষ্টকে হুমকি চিঠি দিয়েছিলেন ধৃত!]

২০১৫ সালের টেটের (TET) মাধ্যমে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু হাই কোর্টে দায়ের হওয়া একাধিক মামলার জেরে থমকে যায় নিয়োগ। পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশের পরই হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। অভিযোগ, মেধা তালিকায় গড়মিল রয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশে নতুন করে মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়। তার পরেও সমস্যা কাটেনি। ফের মামলা হয়। সমস্যা মেটাতে এই সময় নয়া নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।

আদালতের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রতিটি জেলা অফিসের বাইরে মেধা তালিকা টাঙিয়ে রাখা হয়। বলা হয়, এই তালিকা নিয়ে কারওর অভিযোগ থাকলে, তা সরাসরি কমিশনে জানানো যাবে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন কমিশনের সচিব পর্যায়ের আধিকারিকরা। পরে কমিশন আদালতে জানায়, অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য সচিব পর্যায়ের এত সংখ্যক আধিকারিক কমিশনে নেই। তাই অন্য আধিকারিকদেরও অভিযোগ খতিয়ে দেখার অনুমতি দেয় হাই কোর্ট।

[আরও পড়ুন: লাভের গুড় খায় কংগ্রেস, পুরভোটে একলা চলার পক্ষে সওয়াল সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠকে]

দেখা যায়, কমিশনে ৪০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ শেষ করতে পারেনি কমিশন। তাই আরও তিন মাস সময় চাইল তারা। যার জেরে থমকে গেল নিয়োগ প্রক্রিয়ায়ও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement