গোবিন্দ রায়: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জটিলতা কাটছেই না। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে শূন্য পদ নিয়ে ফের দ্বন্দ্ব। ঠিক কত শূন্যপদ রয়েছে, তা নিয়ে মামলাকারীকে এক রকম তথ্য দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । আবার আদালতে দিয়েছে অন্যরকম তথ্য। মামলায় বোর্ডের সভাপতিকে মামলাকারীর সঙ্গে বসে শূন্যপদের সঠিক পরিসংখ্যান দিতে বলল হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। পাশাপাশি, শূন্যপদের পরিসংখ্যানের ভিন্ন তথ্য কেন, তা নিয়েও এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)।
জানা গিয়েছে, নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে হাই কোর্টে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা দায়েরের আগে শূন্য পদের সংখ্যা কত, তা সেটা তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চেয়েছিলেন মামলাকারী। সেই সময় তাঁকে এক রকম তথ্য দেওয়া হয় পর্ষদের তরফে। পরবর্তীতে মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। আদালতেও পর্ষদ শূন্যপদের সংখ্যা জানিয়েছে। কিন্তু এই দুই তথ্যের মধ্যে মিল নেই। তাতেই অসন্তুষ্ট আদালত।
মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে আদালত জানতে চায়, ২০২০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (Primary Teacher recruitment) পর আর কত পদ খালি রয়েছে। সে বছর প্রায় ১৬ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে কত পদে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে? মামলাকারী জানান, “এখনও ৬ হাজার ২৪ টি পদ খালি আছে বলে আরটিআই করে তিনি জানতে পেরেছেন। চাকরি পেয়েছেন ৯ হাজার ২৬০ জন।”
কিন্তু প্রাথমিক বোর্ডের তরফে আদালতে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, শূন্যপদের সংখ্যা ১ হাজার ১১৪। এর প্রেক্ষিতেই শূন্যপদের হিসেব নিয়ে আরটিআই করে পাওয়া তথ্য আর বোর্ডের দেওয়া তথ্যের মিল নেই কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত।বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, বোর্ডের তথ্য আলাদা কেন? ঠিক কত পদ শূন্যপদ রয়েছে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.