Advertisement
Advertisement

Breaking News

Calcutta High Court Contai municipality

কাঁথি পুরসভায় প্রশাসক বদলের বিজ্ঞপ্তিতে এখনই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ নয়, জানাল হাই কোর্ট

আপাতত এই মামলায় সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের।

Calcutta High Court refuses to stay Contai municipality administrator appointment ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 6, 2021 8:50 pm
  • Updated:January 6, 2021 8:50 pm  

শুভঙ্কর বসু: কাঁথি পুরসভায় (Contai Municipality) প্রশাসক বদলের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। তার পরিপ্রেক্ষিতে এখনই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ নয় বলেই জানাল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। আপাতত এই মামলায় সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অরিন্দম সিনহার বেঞ্চ। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে। ২১ জানুয়ারি ফের মামলার শুনানি। তারপর প্রশাসক বদলের রাজ্য সরকারি সিদ্ধান্তের উপর আইনি বিবেচনা করবে আদালত।

গত মাসে বারাকপুরে একটি সভা করেন সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী শুভেন্দু অধিকারী। কাঁথির শান্তিকুঞ্জে পদ্মফুল ফোটানোর কথা বলেন। তার ঠিক কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে সৌমেন্দু অধিকারীকে (Soumendu Adhikari) পুর প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেয় রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। সেই জায়গায় সিদ্ধার্থ মাইতিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশের আরজি জানিয়েছিলেন সৌমেন্দু। শুনানিতে তাঁর আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, রাজনৈতিক কারণে তাঁর মক্কেলকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। বলেন, “সরকার খেয়াল খুশিমতো কোনও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ভোট বকেয়া থাকলে নিয়ম মেনে প্রশাসক বসানো হয় যাতে পুর পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা যায়। নির্দিষ্ট বোর্ড সৌমেন্দুকে নিয়োগ করেছিল। অথচ রাজনৈতিক কারণে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। কিন্তু কেন এই অপসারণ সে যুক্তি স্পষ্ট করেনি রাজ্য।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: সংঘাতের মাঝে হঠাৎ রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী, ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ দাবি নবান্নের]

একাধিক রায়ের কপি উল্লেখ করে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত অবশ্য দাবি করেন, বিদায়ী কাউন্সিলর রাজ্যের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলতে পারেন না। এক্ষেত্রে কারণ দেখানোর কোনও প্রয়োজন নেই। রাজ্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। এবার সবপক্ষকেই হলফনামার আকারে নিজেদের বক্তব্য জানাতে হবে। তারপরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

[আরও পড়ুন: প্রমাণ ছাড়া তোলাবাজির অভিযোগ! বাবুল সুপ্রিয়কে আইনি নোটিস অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement