ফাইল ছবি
গোবিন্দ রায়: বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার দ্বিতীয় মামলায় অভিযুক্ত বিজেপি (BJP) বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও রকম পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। বছর শেষের ছুটির মধ্যে ওই বিধায়কদের কোনও নোটিস দিয়ে ডাকতে পারবে না তদন্তকারিরা। একই ইস্যুতে দায়ের অপর মামলার সঙ্গেই ১০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। এমনই জানিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।
এনিয়ে মামলাকারিদের আইনজীবী দাবি করেন, তদন্ত স্থগিত করার জন্য। রাজ্যের আইনজীবীর বক্তব্য, যেহেতু এই ইস্যুতে দায়ের করা আগের মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে। সেই শুনানি এখনও না হওয়ায় এই মামলা আপাতত না শোনার আবেদন করে রাজ্য। যদিও আদালত জানিয়ে দিয়েছে, তদন্ত চললেও এই সময়ের মধ্যে বিধায়কদের ডাকা বা তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যাবে না।
গত ৭ ডিসেম্বরের শুনানিতে বিধানসভায় ধরনা কর্মসূচির ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখেছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তিনি বলেছিলেন, “যে ক্যামেরার ফুটেজ আমি দেখতে পাচ্ছি সেখানে শুধু শাসকদলের ফুটেজ দেখতে পাচ্ছি। আর কারও জমায়েত দেখতে পাচ্ছি না। তাহলে বিজেপি বিধায়করা জাতীয় সঙ্গীত শুনতে পাবেন কী করে?” রাজ্যের সওয়াল ছিল, “ওটা অন্য ক্যামেরায় আছে।”
এর পর রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন ছিল, “হঠাৎ করে জাতীয় সঙ্গীত শুরু হলে কি বিছানায় শুয়ে থাকা বয়স্ক লোক লাফ দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়বে? দেশকে সম্মান জানানোর জন্য জাতীয় সঙ্গীত? নাকি অপর পক্ষকে ফাঁসানোর জন্য? ৯০ শতাংশ শারীরিক সক্ষমতা হারানো জওয়ানের মাকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে FIR করেনি পুলিশ, এখানে করেছে। ভালো।” সওয়াল জবাব শোনার পর আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছিল হাই কোর্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.