শুভঙ্কর বসু: মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বিশেষ তদন্তকারী দলকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণ ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। একইভাবে নবান্ন অভিযানের পর থেকে নিখোঁজ সিপিআইএম কর্মী দীপক পাঁজাকে খুঁজে বের করতে এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, ১০ দিনের মধ্যে সে বিষয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছে আদালত।
মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যুতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আতাউর রহমান নামে এক ব্যক্তি। পাশাপাশি এই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে সিপিআইএমের তরফেও একটি মামলা করা হয়েছিল। অন্যদিকে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দীপক পাঁজার স্ত্রী সরস্বতী। মামলাগুলির শুনানির পর রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ১২ মার্চ ফের মামলা দুটির শুনানি হবে।
চাকরি, শিক্ষা-সহ একাধিক দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠন। বামেদের অভিযানকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কলকাতা (Kolkata)। রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল তিলোত্তমা। বাম ছাত্র-যুবদের আটকাতে ব্যাপক লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। জলকামানের পাশাপাশি কাদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়। পুলিশের ‘অমানবিক’ আচরণে জখম হন বহু ছাত্র-যুব। প্রায় ৪০ জনকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন বাঁকুড়ার মইদুল ইসলাম মিদ্দা। গুরুতর জখম অবস্থায় বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি। পরে মৃত্যু হয় তাঁর। ওই দিন থেকেই নিখোঁজ পূর্ব মেদিনীপুরের দীপক পাঁজা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.