Advertisement
Advertisement

নারদ কাণ্ডে ধৃত ৪ হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাই কোর্ট

২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে আদালত।

Calcutta High Court grants interim bail to all four TMC leaders in Narada Case ।Sangbad Pratidin

২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে আদালত।

Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 28, 2021 12:57 pm
  • Updated:May 28, 2021 1:17 pm  

শুভঙ্কর বসু: নারদ কাণ্ডে ধৃত ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। ২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁদের অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দিল আদালত। 

স্টিং অপারেশনের পাঁচ বছর পর নারদ মামলা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। চলতি মাসে এই মামলায় চেতলার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। ওইদিনই একে একে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee), কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra), প্রাক্তন তৃণমূল ও বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে (Sovon Chatterjee) গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে। তারপর টানটান নাটকীয়তার পর জেল হেফাজত হয় প্রত্যেকের। বর্তমানে যদিও গৃহবন্দি অবস্থাতেই ছিলেন প্রত্যেকে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: পরিত্যক্ত পুকুরের পাশ থেকে উদ্ধার মুণ্ডহীন পচাগলা দেহ, তীব্র চাঞ্চল্য বাঁশদ্রোণীতে]

শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ কলকাতা হাই কোর্টে শুরু হয় শুনানি। শুরুতেই সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা দাবি করেন, পুরো মামলাটাই শোনা হোক। তবে অভিযুক্তদের আইনজীবীদের তরফে বলা হয়, মূল আবেদনের সঙ্গে যদি কোনও সংযুক্ত আবেদন থাকে তবে তা ১৪ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হয়। শুনানির শুরুতে সেই একই দাবিতে অনড় থাকেন অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীরা। সেই অনুযায়ী  শুনানির শুরুতেই অন্তর্বর্তী জামিনের মামলা আগে শোনা হয়। তারপরই ২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ওই চার হেভিওয়েটের জামিন মঞ্জুর করে কলকাতা হাই কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। তবে বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ওই চার হেভিওয়েটকে মামলার তদন্তকারী আধিকারিকদের সহযোগিতা করতে হবে। বর্তমানে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে যেহেতু নানা বিধিনিষেধ জারি রয়েছে তাই আপাতত ভারচুয়ালি সহযোগিতা করতে হবে তাঁদের। তবে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার হওয়ার পর সশরীরে উপস্থিত থেকেও তদন্তে সহযোগিতা করতে হতে পারে। বর্তমানে আর গৃহবন্দি থাকতে হবে না তাঁদের। বাইরে বেরিয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারবেন তাঁরা। যে কোনও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখিও হতে পারবেন ওই চার হেভিওয়েট। তবে মামলার বিষয়ে কোনও মুখ খুলতে পারবেন না মন্ত্রী-বিধায়করা।

[আরও পড়ুন: বৃদ্ধ মা-বাবাকে করোনা টিকা দেওয়ার আবেদন ডাক্তারদের, প্রতিটি জেলার CMOH-কে চিঠি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement