শুভঙ্কর বসু: সরকারি হোম তথা জুভেনাইল সংশোধনাগার থেকে পলাতক ১৩ নাবালকে খুঁজে বার করতে এবার উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করল কলকাতা হাই কোর্ট।
গত মার্চে রক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘড়িয়ার ধ্রুব আশ্রম থেকে বেশকিছু ছেলে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর পরই কয়েকজন আত্মসমর্পণ করলেও ১৩ জনের এখনও কোনও খোঁজ নেই। ওই নিখোঁজ বালকদের খুঁজে বার করতে তিন সদস্যের সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। তদন্তকারী দলে রয়েছেন অতিরিক্ত ডাইরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ অজয় রানাডে, কলকাতার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দময়ন্তী সেন ও সিআইডির ডেপুটি ইন্সপেক্টর প্রণব কুমার।
জানা গিয়েছে, গত ৮ মার্চ হোমের রক্ষীদের ধাক্কা মেরে গেট টপকে পালিয়ে যায় ওই নাবালকরা। এরপরই বেলঘড়িয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে ধ্রুব আশ্রম কর্তৃপক্ষ। বেলঘড়িয়া থানা সূত্রে খবর, যে ক’জন পরে আত্মসমর্পণ করে তারা গোপন জবানবন্দিতে জানিয়েছিল পূর্বপরিকল্পনা মাফিক তারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল। প্ল্যান মতো ঘটনার দিন রাতে তারা নিজেদের মধ্যে প্রথমে ঝামেলা বাধায়। এরপর দরজা খুলে রক্ষী এলে প্রথমে তাকে ধাক্কা মেরে ঘায়েল করে তারপর গেট টপকে চম্পট দেয়। নাবালক হলেও এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অপরাধের চার্জ হয়েছে।
কিন্তু ঘটনার পর মাস চারেক কেটে গেলেও কেন তাদের খুঁজে বার করা গেল না তা নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাই কোর্ট। বিশেষত ওই ঘটনার কয়েকদিন পর থেকেই গোটা দেশে লকডাউন শুরু হয়। কোভিড আতঙ্কের মধ্যে তাঁরা কোথায় ঘাপটি মেরে রয়েছে তা কেন পুলিশ জানতে পারল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও ধ্রুব আশ্রম থেকে নাবালক নিখোঁজের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার বহু বালক আশ্রমের গণ্ডি পেরিয়ে সহজেই চম্পট দিয়েছে। যদিও এ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে নারাজ আশ্রম কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে কোন মন্তব্য করতে চায়নি তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.