শুভঙ্কর বসু: অপরিকল্পিতভাবে লকডাউন (Lockdown) শিথিল করা হয়েছে। লোকাল ট্রেন ও পর্যাপ্ত পরিবহণের ব্যবস্থা না করেই সরকারি ও বেসরকারি অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই অভিযোগ জানিয়ে সম্প্রতি একটি মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার আবেদনকারীর আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর এই জনস্বার্থ মামলায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ১১ তারিখের মধ্যে তাদের জানাতে হবে কিসের ভিত্তিতে লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? আর তার প্রেক্ষিতে কী কী ব্যবস্থা করা হয়েছে?
শুক্রবার প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণ ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হয়। মামলাকারীর আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস অভিযোগ করেন, কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই লকডাউন তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। যার ফলস্বরুপ পুরনো ছন্দে বাজার খুলেছে। সেখানে কোনওরকম প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে কেনাকাটা। কোথাও কোনও নজরদারি বালাই নেই। পাশাপাশি ভিন রাজ্য থেকে ঘরে ফেরা শ্রমিকদের ব্যাপারেও সরকারের কোনও সুস্পষ্ট নীতি নেই। তাঁদের থাকার জন্য পর্যাপ্ত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেরও ব্যবস্থা করা হয়নি।
লোকাল ট্রেন কবে থেকে চলাচল করবে সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। রাস্তায় পর্যাপ্ত পরিবহণের ব্যবস্থা নেই। যে সংখ্যক বাস চালানো হচ্ছে তাতে যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার আগামী ৮ জুন থেকে ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি অফিসগুলি খোলার কথা ঘোষণা করেছে। পর্যাপ্ত গণপরিবহণের ব্যবস্থা না করে এমন করার অর্থ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া। এপ্রসঙ্গে সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনও তুলে ধরেন তিনি। এরপরই লকডাউন শিথিল করা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের উভয়ের জবাব চেয়ে রিপোর্ট তলব করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১১ জুনের মধ্যে এই বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.