Advertisement
Advertisement

Breaking News

Calcutta High Court

শেষ ভিসার মেয়াদ, রাজ্যে রমরমিয়ে ব্যবসা বাংলাদেশির, ইডিকে তদন্তভার হাই কোর্টের

তদন্তকারীদের আশঙ্কা, ওই ব্যক্তি আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন।

Calcutta High Court asks ED to investigate Bangladeshi traders in WB
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:June 28, 2024 1:30 pm
  • Updated:June 28, 2024 4:51 pm  

গোবিন্দ রায়: আট বছর আগে ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও এদেশে বেআইনিভাবে থাকার অভিযোগ উঠল এক বাংলাদেশির বিরুদ্ধে। শুধু বসবাসই নয়, বিদেশে টাকা পাচারের মতো বেআইনি কারবার চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে উমাশঙ্কর আগারওয়াল নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্ত বাংলাদেশির বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের ধারা যুক্ত করে ইডির হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।  

জানা গিয়েছে, এরাজ্যে সানথোলিয়া আগারওয়ালা গ্রুপ নামে একটি কোম্পানি রয়েছে উমাশঙ্কর আগারওয়ালের। অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ওই সংস্থা বাংলাদেশ থেকে প্রচুর টাকা রাজ্যের বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছে। মামলাকারীর আইনজীবী মেঘা দত্ত জানান, “ঘটনায় রাজ্য পুলিশ ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে। তাতেই এবার আর্থিক দুর্নীতির বিষয় রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রয়োজনে তদন্তভার ইডির হাতে তুলে দিয়ে উপযুক্ত ধরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে, পুলিশি রিপোর্টে অসন্তুষ্ট হাই কোর্ট

এই মামলায় অবিলম্বে আর্থিক তছরুপের ধারা যুক্ত করতে হবে বলে আবেদন জানিয়েছেন ওই আইনজীবী। তাঁর দাবি, বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন এবং চোরা কারবারিরা এই অর্থের দ্বারা উপকৃত হয়। উমাশঙ্কর আগারওয়ালের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ আগেই স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল। উমাশঙ্করকে গ্রেপ্তারের পর আলিপুর আদালতে তোলা হলে তিনি অবশ্য জামিনও পেয়ে যান।

যদিও আদালতে উমাশঙ্করের পালটা অভিযোগ, তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ ইতিমধ্যে জামিন খারিজের দাবিতে হাই কোর্টের অন্য একটি বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছে। জুলাই মাসে সেই মামলার শুনানি রয়েছে। এদিকে হাই কোর্ট সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির বাংলাদেশের পাসপোর্ট রয়েছে। ২০১৬ সালে তাঁর ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। তার পর থেকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এরাজ্যে রয়েছেন কিভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তদন্তকারীদের আশঙ্কা, তিনি আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। একাধিকবার বদল করেছেন ঠিকানাও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement