Advertisement
Advertisement

Breaking News

West Bengal

চার জেলায় ট্রাক চালাতে দিতে হচ্ছে ‘‌গুন্ডাট্যাক্স’‌! রাজ্য ডিজিপি’র প্রতিক্রিয়া চাইল হাই কোর্ট

ওই চার জেলার পুলিশ আধিকারিকদের রিপোর্ট দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তালুকদার।

Calcutta High court asked state DGP about Truck owners complain

ছবি: প্রতীকী

Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:August 10, 2020 10:47 pm
  • Updated:August 10, 2020 10:47 pm  

শুভঙ্কর বসু: মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও দুই দিনাজপুর। এই চারটি জেলায় ট্রাক চালাতে গেলে দিতে হচ্ছে ‘গুন্ডাট্যাক্স’। রীতিমত কুপন ইস্যু করে এই ‘কর’ আদায় করছে দুষ্কৃতীরা। লরি পিছু দিতে হচ্ছে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা। বেছে বেছে বালি, পাথর ইট, সিমেন্ট–সহ নির্মাণসামগ্রী বহনকারী গাড়ি গুলিকে টার্গেট করা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের সাফ কথা, ওই কূপনে লেখা টাকা না দিলে লরির চাকা এক চুলও এগোবে না। অভিযোগ, এই চার জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা একাধিক থানাই শুধু নয়, পুলিশের উচ্চমহলে একাধিকবার বিষয়টি জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টে পুলিশের বক্তব্য, এ ব্যাপারে তাদের কিছু করার নেই।

[আরও পড়ুন: ‘রাজ্যে যা উন্নয়ন হয়েছে তার একাংশও করতে পারবে না বিজেপি’, ফের খোঁচা অনুব্রতর]

এদিকে, বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বেশ কয়েকজন ট্রাক মালিক। তাঁদের অভিযোগ, এই চারটি জেলা বাদে অন্য কোনও জেলায় ট্রাক চালাতে সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু এই চার জেলায় ট্রাক নিয়ে ঢুকলেই ‘গুন্ডাট্যাক্স’ দিয়ে তবে গাড়ি নিয়ে এগোতে পারছেন তারা। মূলত মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি, সুতি, জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জ, ফারাক্কা। মালদহের বৈষ্ণবনগর, কালিয়াচক, ইংলিশ বাজার, মালদা ট্রাফিক, ওল্ড মালদা, গাজল। উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি, ডালখোলা, কানকি, ইসলামপুর, চাপরা এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, হরিরামপুর, ইটাহার, বুনিয়াদপুর ও গঙ্গারামপুর থানা এলাকায় এই কর নাকি চালু হয়েছে। থানাগুলোতে একাধিকবার জানানোর পরও কোন কাজ না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ট্রাক মালিকরা। অভিযোগ তাতেও কোনও কাজ হয়নি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কীসের দূরত্ববিধি? বিজেপি বিধায়কের স্মরণসভায় শিকেয় নিয়ম, মাস্ক ছাড়াই বসে দিলীপ]

সোমবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাসে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মামলাটির শুনানিতে ট্রাক মালিকদের আইনজীবী, মহিনুর রহমান ও মারিয়া রহমান প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কি পুলিশের মদতেই দিনের পর দিন এই ‘‌গুন্ডাট্যাক্স’‌ আদায় করে চলেছে দুষ্কৃতীরা? রাজ্য সরকারের তরফে এই মামলার শুনানিতে কোনও আইনজীবী উপস্থিত না থাকলেও অন্য মামলার জন্য অনলাইন ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি আনন্দ ফরমানিয়া। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে বিচারপতি তালুকদার তাঁকেই এ ব্যাপারে রাজ্যের ডাইরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ বা ডিজিপি–র মতামত নিতে নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে ওই চার জেলার পুলিশ আধিকারিকদের রিপোর্ট দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তালুকদার। আগামী ১২ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement