শুভঙ্কর বসু: করোনা আবহে রাজ্যের চার পুরনিগমের (Municipal Election) ভোট। আগামী ২২ তারিখ ভোট হবে বিধাননগর, চন্দননগর, শিলগুড়ি ও আসানসোলে। অতিমারী পরিস্থিতিতে, যেখানে সংক্রমণের হার হু হু করে বাড়ছে, এই অবস্থায় ভোট চান না অনেকেই। এই মর্মে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) মামলাও হয়েছে। সেই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার আদালত এই চার নির্বাচনী এলাকার কোভিড (COVID-19) সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চাইল। আগামী ১৩ তারিখ ফের মামলার শুনানি। ওইদিন রাজ্য সরকারকে এই চার এলাকার করোনা পরিসংখ্যান পেশ করতে হবে হাই কোর্টে।
প্রসঙ্গত, যে চারটি জেলার পুরনিগমে ভোট আছে, তার তিনটিতেই সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। সবচেয়ে বেশি উত্তর ২৪ পরগনায়। এই জেলার বিধাননগরে পুরভোট। এর পরপরই রয়েছে হুগলি এবং পশ্চিম বর্ধমান। রাজ্যের কোভিড গ্রাফে এই জেলাগুলির নাম এতদিন সেভাবে দেখা না গেলেও খুব সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান খেয়াল করলে স্পষ্ট যে হুগলি ও পশ্চিম বর্ধমানে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এই দুই জেলার চন্দননগর ও আসানসোল পুরনিগমে ভোট ২২ তারিখ। একমাত্র দার্জিলিং জেলায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় শিলিগুড়ির পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া যায়।
মঙ্গলবার ভোট সংক্রান্ত শুনানিতে আদালতের কাছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলফনামা আকারে পেশ করে রাজ্য সরকার। এরপরই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, যে চার পুরনিগমে ভোট, সেখানকার করোনা তথ্য বিস্তারিতভাবে দিতে হবে আদালতকে। সেসব এলাকায় কটি কনটেনমেন্ট জোন, সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার, ভোটকেন্দ্রের চারপাশে কতটা কনটেনমেন্ট জোন, কতটাই বা কোভিডমুক্ত এলাকা, কতজন কোভিডমুক্ত ভোটকর্মী – এই সবই জানতে চেয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন মামলার শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে জানান যে, গঙ্গাসাগর মেলা পিছনোর উপায় নেই কিন্তু নির্বাচন তো পিছনো যেতেই পারে। তাতে পালটা রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, একাধিক বিধিনিষেধ মেনেই পুরনিগমের ভোট ঠিক করা হয়েছে। এছাড়া রাজ্যে তো লকডাউনের মতো পরস্থিতি নেই। সেক্ষেত্রে ভোট পিছনোর প্রয়োজন নেই। এরপর নির্বাচন কমিশনের কাছে বিচারপতিরা জানতে চান যে করোনা সংক্রমণ যেভাবে বেড়েছে গত কয়েকদিনে, তার মধ্যে ঝুঁকি এড়িয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোট করানোর পরিকাঠামো কমিশনের আছে কি না। এর জন্য কমিশন কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা বিশদে জানাতে হবে ১৩ তারিখের মধ্যে। ওইদিনই পরবর্তী শুনানি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.