গোবিন্দ রায়: টেট পাশ না করে, সার্টিফিকেট হাতে না পেয়েও কীভাবে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক পদে (Primary Teachers) চাকরি পেলেন ৯৬ জন? বৃহস্পতিবার ওএমআর শিট (OMR Sheet) বিকৃতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এমনই প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিকৃত করা ওএমআর শিটের আসল প্রতিলিপি কোথায়? এই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি। এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এই সংক্রান্ত মামলায় আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করে। তাতেই উল্লেখ, ৯৬ জন শিক্ষক টেট পাশ না করেও চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। তাতেই প্রশ্ন উঠেছে। আর এসব তথ্যই প্রমাণ করে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির শিকড় আরও গভীরে।
আদালতে পেশ করা রিপোর্টে পর্ষদ জানিয়েছে, ওই ৯৬ জনকে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিশনের (DPSC) মাধ্যমে নোটিস পাঠানো হয়েছে। ২৭ তারিখের মধ্যে নিজেদের নথিপত্র পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। যদি তাঁরা সময়ের মধ্যে যথোপযুক্ত নথি দেখাতে না পারে, তাহলে কড়া ব্যবস্থা হিসেবে চাকরি বাতিল হবে ওই ৯৬ জনের। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ৯৬ জন টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন। তাই তাঁদের চাকরি বাতিল করার সুপারিশ আদালতের।
এছাড়া আরও ৪৬ জন প্রশিক্ষণ শেষ না করেই চাকরি পেয়েছেন বলে দেখা গিয়েছে। তাঁরাই বা কীভাবে চাকরি পান? সেই শিক্ষকদেরও ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া নিয়েও নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাঁরা সার্টিফিকেট না দিয়েই চাকরি পেয়েছিলেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ, ওএমআর শিট বিকৃতিতেই ২১ হাজার চাকরি এভাবে বেআইনিভাবে পেয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ডিজিটাইজড রিপোর্টেও কারচুপি করা হয়েছে। আর ওএমআর শিটের আসল প্রতিলিপি না পাওয়াতেই এর কিনারা করা যাচ্ছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.