শুভঙ্কর বসু: সিট ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও এক চিকিৎসক ছাত্রীকে পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হল বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে অবশেষে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ছাত্রী। অভিযোগ শোনার পর আপাতত কাউন্সেলিংয়ে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় (পোস্ট গ্রাজুয়েট) ৬১৯০৭ ব়্যাংক করেছিলেন ডাক্তার ডালিয়া রায় নামে ওই ছাত্রী। এরপর রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর আয়োজিত মপ-আপ কাউন্সেলিংয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে তিনি অংশ নেন। তার পছন্দের বিষয় ছিল গাইনিকোলজি। ওই বিষয়ে তিনি মাস্টার অফ সার্জারি (এম এস) করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গত ২৬ ও ২৭ জুলাই স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে তাঁকে জানানো হয়, তাঁর পছন্দের বিষয় অর্থাৎ গাইনিকোলজিতে সমস্ত সিট পূরণ হয়ে গিয়েছে। পরিবর্তে তাকে মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে পড়ার অফার দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ ৩০ জুলাই তিনি কোনও একটি সূত্র মারফত জানতে পারেন, গাইনিকোলজিতে দুটি সিট ফাঁকা রয়েছে। অথচ তা সত্ত্বেও তাঁকে ওই বিষয়ে পড়তে সুযোগ দেওয়া হয়নি।
বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য এজলাসে তার আইনজীবী সুবীর সান্যাল দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের পছন্দের বিষয়ের সিট ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও তাঁকে তা অফার করা হয়নি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কাদের ওই বিষয়ে সিট অফার করা হল? যারা ওই বিষয় নিয়ে পড়বার সুযোগ পাবেন তাদের ব়্যাংকই বা কত?
তিনি অভিযোগ করেন, নিয়ম অনুযায়ী ভরতির আগে কোন কোন কলেজে কতজন সুযোগ পেয়েছেন স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে তা নিয়ে তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনও তালিকা প্রকাশ না করেই কলেজে ভরতির প্রক্রিয়াটি কার্যকর করতে চাইছে স্বাস্থ্যদপ্তর।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরকে এ বিষয়ে অবিলম্বে তালিকা প্রকাশের নির্দেশিকা আদালত। যদিও মামলায় রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে কোনও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। বিষয়টি শোনার পর বিচারপতি ভট্টাচার্য, গাইনিকোলজি বিষয়ে কাউন্সেলিং ও পদ পূরণে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে ফের মামলার শুনানি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.