সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসএসসি মামলায় ফের নয়া মোড়। উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। মঙ্গলবার এক আবেদনকারীর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনই রায় দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এই রায়ে আটকে গেল প্রায় ৭৫০ জনের চাকরি। কীসের ভিত্তিতে এই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছিল, এসএসসির (SSC) কাছে তা জানতে চেয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার। ততদিন পর্যন্ত কোনও চাকরিপ্রার্থীকে সুপারিশপত্র দিতে পারবে না স্কুল সার্ভিস কমিশন।
২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে (Upper Primary) শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ এ লিখিত পরীক্ষা এবং ২০১৮ এ ইন্টারভিউ হয়। চলতি বছরের অক্টোবরে ওই পরীক্ষার ভিত্তিতে কর্মশিক্ষক ও শারীরশিক্ষকদের অতিরিক্ত পদ তৈরি করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। এরপর প্রকাশিত হয় প্রকাশিত ওয়েটিং লিস্ট। কিন্তু সেই তালিকা থেকেই অভিযোগ ওঠে। সোমা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ, তাঁর চেয়ে কম নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীর নাম রয়েছে ওয়েটিং লিস্টে। এই মর্মে তিনি হাই কোর্টে (Calcutta HC) মামলা দায়ের করেন।
সেই মামলায় শুনানি ছিল মঙ্গলবার। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চ কমিশনের কাছে জানতে চায়, কীসের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পদ তৈরি করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল? তার জবাব না পাওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। অর্থাৎ এখনই চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে না এসএসসি। মঙ্গলবার এসএসসির অফিস বন্ধ। তাই সেখান থেকে নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রশ্ন নেই বলে জানিয়েছেন কমিশনের কর্তারা। কর্মশিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হাই কোর্টের স্থগিতাদেশের জেরে প্রায় সাড়ে ৭০০ চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ নিয়ে ফের জট তৈরি হল।
হাই কোর্টে এসএসসি সংক্রান্ত অপর একটি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই ও সিটের অফিসারদের তলব করেছেন। জানতে চেয়েছেন, মোট কত ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে। কীভাবেই বা এই নিয়োগ হল? তাও জানতে চান তিনি। বুধবার দুপুরে সিটের প্রধানকে তলব করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। এদিকে, টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়া প্রায় ৪৫ জন প্রার্থীকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। তাঁদের নোটিসও পাঠানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.