রাহুল রায়: ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় খড়গপুর আইআইটি (IIT Kharagpur) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হাই কোর্ট। র্যাগিংয়ের কথা জানানো হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতেই। তারপরও ম্যানেজমেন্ট ও ওয়ার্ডেনরা কী করছিলেন, জানতে চায় আদালত। আইআইটির ডিরেক্টরকে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ। ১৪ অক্টোবর খড়গপুর আইআইটির ছাত্রাবাসের বন্ধ ঘর থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফয়জান আহমেদের দেহ উদ্ধার হয়। এর দু’সপ্তাহ পর তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, আত্মহত্যা নাকি প্ররোচনায় আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখতে হবে। র্যাগিংয়ের অভিযোগ প্রমাণ হলে কড়া সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার রিপোর্ট পেশ করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সবদিক খতিয়ে দেখে ফয়জনের মৃত্যুর তদন্ত করবে।
পাশাপাশি, ১৪ নভেম্বরের মধ্যে কলকাতা এফএসএলের ডিরেক্টরকে ফয়জনের ভিসেরা রিপোর্ট পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপিকে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ফেসবুককেও সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ নভেম্বর। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন তদন্তকারী অফিসারও।
লালা লাজপত রায় হস্টেল থেকে উদ্ধার পচাগলা দেহ। মৃত যুবকের নাম ফয়জান আহমেদ। অসমের (Assam) তিনসুকিয়ার বাসিন্দা তিনি। খড়গপুর আইআইটিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন থাকতেন আইআইটির রাজেন্দ্র প্রসাদ হলে। কিছুদিন আগে একবন্ধুর সঙ্গে হস্টেল বদল করেন। চলে আসেন লালা লাজপত রায়ে। শুক্রবার সকালে ফায়জানের পাশের ঘরে থাকা পড়ুয়ারা দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন বলে খবর। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা হস্টেলের ওয়ার্ডেনকে বিষয়টি জানান। তারপরই দেহ উদ্ধার হয় ছাত্রের। এই ঘটনায় সিআইডি-সিট তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় মৃতের পরিবার। সেই শুনানি চলছে হাই কোর্টে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.