গোবিন্দ রায়: রামপুরহাট কাণ্ড (Rampurhat Clash) নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করল আদালত। বগটুই গ্রামের (Bogtui Village) অগ্নিকাণ্ড নিয়ে ৭টি ভিন্নভিন্ন পিটিশন দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। এদিন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে একসঙ্গে সবক’টি আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিন পর্যবেক্ষণে বিচারপতিরা জানান, ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে রাজ্যকে প্রথমে রিপোর্ট পেশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে এদিন আদালত একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটকে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। এই ঘটনায় তদন্ত কতটা এগিয়েছে, তা খতিয়ে দেখতেই এই রিপোর্ট তলব করল আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুর দু’টোর মধ্যে আদালতে জমা করতে হবে রিপোর্ট। কেস ডায়রি নিয়ে কোর্টে হাজির হতে হবে তদন্তকারী আধিকারিককে।
এদিন হাই কোর্ট আরও বলেছে, বগটুই গ্রামের ঘটনাস্থলে সিসিটিভি বসাতে হবে। পূর্ব বর্ধমানের জেলা জজ তার দেখভাল করবেন। বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি তুলে তা আদালতে জমা করতে হবে। ঘটনাস্থলের ভিডিও ও ফটো সংরক্ষণও করতে হবে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দলকে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ উদ্ধার করে পরীক্ষায় পাঠাতে হবে।
এদিন আদালতে গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিজেপির আইনজীবীরা। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হাই কোর্টের নির্দেশ, পূর্ব বর্ধমান জেলা জজের সঙ্গে আলোচনা করে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও আইজিকে অবিলম্বে সাক্ষীদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে হবে। ঘটনায় মৃতদের ময়নাতদন্তের সময় করতে হবে ভিডিওগ্রাফি।
প্রসঙ্গত. বগটুই গ্রামের ঘটনার দিকে নজর রাখছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। রাজ্যকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ। উল্লেখ্য, সোমবার রাতে রামপুরহাটে (Rampurhat Clash) বোমা মেরে খুন করা হয় তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখকে। এর পরই সেই রাতে বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যেখানে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.