Advertisement
Advertisement
CRPF

জাল সার্টিফিকেট! CRPF কনস্টেবল ও CAPF নিয়োগে হলফনামা তলব হাই কোর্টের

আগামী শুনানিতে সেন্ট্রাল স্টাফ সিলেকশন কমিশনকে হলফনামা দিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে।

Calcutta HC seeks affidavit CRPF constable and CAPF recruitment from Bengal

ফাইল ছবি।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 29, 2024 6:28 pm
  • Updated:July 29, 2024 10:15 pm  

গোবিন্দ রায়: এরাজ্য থেকে সিআরপিএফ (CRPF) কনস্টেবল ও কেন্দ্রীয় সরকারের আর্মড ফোর্সে (CAPF) ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেটে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। জল গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। অভিযোগ, ভিনরাজ্যের যুবক-যুবতীরা জাল সার্টিফিকেট দিয়ে বাংলা থেকে চাকরি পেয়েছেন। ফলে এ রাজ্যের ছেলেমেয়েরা বঞ্চিত হয়েছেন। এই অভিযোগের জেরে বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের স্টাফ সিলেকশন কমিশনের হলফনামা তলব করলেন। সিবিআইকেও দিতে হবে রিপোর্ট।

২০২১ সালে ও ২০২২ সালে সেন্ট্রাল স্টাফ সিলেকশন কমিশনের মাধ্যমে সিআরপিএফ কনস্টেবল ও আর্মড ফোর্স নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুধুমাত্র এ রাজ্যের ক্ষেত্রে একুশ সালের ৩ হাজার ও ২০২২ সালে ৬ হাজার ৩৮০ শূন্যপদে নিয়োগ শুরু হয়। এ পর্যন্ত একুশ সালে ১ হাজার ৫০০ ও ২০২২ সালের ৩ হাজার ৬২৭ পদে নিয়োগ হয়েছে। বাকি পদ শূন্য রয়েছে। এরই মধ্যে এই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সুপ্রতীপ পাল ও রাহুল মাঝি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘নিয়মের বেড়াজালে আটকাচ্ছে কাজ’, মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপের আর্জি টলিউড পরিচালক-প্রযোজকদের]

তাঁদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, সিআরপিএফে বহু ভুয়ো প্রার্থী নিয়োগ হয়েছে। ভিনরাজ্যের অনেক প্রার্থী এখান থেকে চাকরি পেয়েছেন। তাঁদের নিয়োগ বাতিল করা হলে যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পেতে পারেন। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বক্তব্য, ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী ভুয়ো নিয়োগ নিয়ে দায়ের হওয়া এক মামলায় সিবিআই তদন্ত করছে। সিবিআইকে বক্তব্য জানাতে সময় দিক আদালত।

নভেম্বর মাসে মামলার পরবর্তী শুনানি। আগামী শুনানিতে সেন্ট্রাল স্টাফ সিলেকশন কমিশনকে হলফনামা দিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে। একইসঙ্গে সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে। নিয়োগে কোনও বাধা নেই। তবে ২০২১ ও ২০২২ সালের ৩৯টি পদ ফাঁকা রেখে চলবে নিয়োগ। 

ভুয়ো সার্টিফিকেটে নিয়োগ নিয়ে বাংলা পক্ষের তরফে কৌশিক মাইতি বলেন, “কেন্দ্রীয় আধাসেনায় বাংলার রাজ্য কোটায় বাংলার স্থায়ী বাসিন্দাদের বঞ্চিত করে জাল ডোমিসাইল ও জাল কাস্ট সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি দখল করছিল বিহার ও ইউপির বহিরাগতরা। বাংলা পক্ষ ময়দানে নেমে লড়াই করে। বিভিন্ন জায়গায় জাল চাকরিপ্রার্থীদের ধরে পুলিশে দেওয়া হয়, FIR হয় এবং বিভিন্ন SDO অফিসে অভিযান করে বাংলা পক্ষ। হাই কোর্টে মামলাও করা হয়েছিল, যার প্রেক্ষতে সিবিয়াই তদন্ত হয়। এর ফলে CRPF ৫৫০০ জন সম্ভাব্য জাল চাকরিপ্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে।
আমরা চাই এই ৫৫০০ চাকরি ওই বছরগুলোয় লিস্টে পরে থাকা বাংলার যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা পাক। আজকেই হাই কোর্টের রায়কে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। বাংলা পক্ষ ভূমিপুত্র চাকরি প্রার্থীদের স্বার্থে লড়ে যাবে।”

[আরও পড়ুন: ‘আমি হেরে গিয়েছিলাম, তোমরা জিতে গিয়েছ’, কেন এমন উপলব্ধি সৃজিতের?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement