সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান
গোবিন্দ রায়: সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তারিতে কোনও বাধা নেই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই-ইডি) কিংবা রাজ্য পুলিশ যে কেউ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারে। বুধবার বিষয়টি আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতির মন্তব্য়, “আবারও বলছি, শাহজাহানকে গ্রেপ্তারিতে কোনও বাধা নেই।”
গত ৭ ফেব্রুয়ারির আদালতের নির্দেশের পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। সেই শুনানিতে এদিন গ্রেপ্তারির বিষয়টি স্পষ্ট করলেন বিচারপতি। গ্রেপ্তার করতে পারে সিবিআই, ইডি বা রাজ্য পুলিশও। কিন্তু আদালতের এই নির্দেশের কিছুটা বিরোধিতা করেছে ইডি। তাদের দাবি, রাজ্য পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করলে তথ্যপ্রমাণ বিকৃত করা হতে পারে। লঘু ধারায় মামলা করতে পারে পুলিশ। ফলে সহজেই শাহজাহান জামিন পেয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে ইডি। তবে সিবিআই শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করলে ইডির আপত্তি নেই বলে আদালতে জানিয়েছে তারা।
এখনও অধরা শেখ শাহজাহান। তাঁর গ্রেপ্তারির দাবিতে ফুঁসছে সন্দেশখালির মহিলা-সহ সকলেই। বিরোধীরা বারবার কাঠগড়ায় তুলছে শাসকদলকে। দাবি করা হচ্ছে, তৃণমূলই আড়াল করছে শাহজাহানকে। যদিও শাসক দলের দাবি, আদালতই হাত-পা বেঁধে দিয়েছে রাজ্য পুলিশের। নাহলে আগেই গ্রেপ্তার করা হত তাঁকে। দাবির স্বপক্ষে আদালতের ৭ ফেব্রুয়ারির নির্দেশনামার একটি অংশ প্রকাশ করে তারা। যেখানে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের তদন্তে ‘স্থগিতাদেশ’ জারি করেছিল আদালত। সেই রায়ের পরিবর্তন চেয়ে এদিন আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। তবে শাসক দলের সেই দাবি যে সত্য় নয় তা বোঝাতে এদিন হাই কোর্ট ফের একবার জানিয়ে দিল, শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তারিতে কোনও বাধা নেই। তার পরেও বিভ্রান্তি কাটছিল না।
‘বিভ্রান্তি’ দূর করতে শুনানি চলাকালীন এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা ওই দিন পুলিশকে তদন্ত করতে বারণ করেছিলাম। কোথাও বলিনি যে নতুন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা যাবে না। শুধু মাত্র তদন্তের ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ দিয়েছিলাম।” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিচারপতি আরও বলেন, “অনেকেই বলছেন হাই কোর্ট অভিযুক্তকে রক্ষা করছে। ৪২টা এফআইআর দায়ের হওয়ার পরেও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা যায়নি, দায় পুলিশ ঝেড়ে ফেলতে পারে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.