স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva-Bharati University) পড়ুয়াদের আন্দোলনে হস্তক্ষেপ করবে না কলকাতা হাই কোর্ট। তবে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে হবে। কোনও রকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী মামলায় এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Kolkata High Court)।
বিচারপতি রাজাশেখর মন্থার নির্দেশে জানিয়েছেন, আন্দোলন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করবে না। তবে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কার্যকলাপে বাধা দিতে পারবেন না আন্দোলনকারীরা। কোনও আধিকারিকের যাতায়াতের পথ অবরুদ্ধ করা যাবে না। একইসঙ্গে বিচারপতির নির্দেশ, পড়ুয়াদের যে দাবি রয়েছে তা ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে আদালতে জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, হস্টেল খোলা-সহ কয়েক দফা দাবিতে গত তিন দিন ধরে আন্দোলন করছেন বিশ্বভারতীয় পড়ুয়াদের একাংশ।রেজিস্ট্রারের ঘর বন্ধ করে আন্দোলন চলছে। সোমবার সকাল থেকেই পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ক্যাম্পাসের গেট টপকে ভিতরে ঢুকে মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালার ক্লাস বন্ধ করে দেন তাঁরা। বেশ কয়েকটি দাবিতে তাঁদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল অবিলম্বে হস্টেল (Hostel) খোলা, অফলাইনে পড়াশোনা শুরু। আসলে করোনা (Coronavirus) আতঙ্ক কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অফলাইনে পঠন-পাঠন শুরু হলেও হস্টেল এখনও বন্ধ রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়ছে কর্তৃপক্ষ। যার ফলে দূর-দুরান্ত থেকে আশা পড়ুয়ারা ভালরকম অসুবিধায় পড়েছেন। মূলত হস্টেল খোলার দাবিতেই আন্দোলন চালাচ্ছেন পড়ুয়ারা।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে সুস্থ পঠনপাঠনের পরিবেশ বজায় রাখার জন্য হাই কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। আন্দোলনে জড়িত এক ছাত্রনেতার বিরুদ্ধেও আদালতে অভিযোগ জানান বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই আবেদনের শুনানিতে এদিন কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন এবং দৈনন্দিন কাজেও বাধা দিতে পারবেন না পড়ুয়ারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.