সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও গোবিন্দ রায়: তৃণমূল নেতাদের শাস্তি শোনানোয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বিচারকের এজলাস বয়কট করেছেন সেখানকার আইনজীবীদের একাংশ। অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বিচারক অসীমানন্দ মণ্ডল। জেলা আদালতের বিচারককে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইন মোতাবেক যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তিনি নিতে পারেন বলেও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিচারক অসীমানন্দ মণ্ডল ১১ জন তৃণমূল নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করে, শাস্তি শোনায়। এনিয়ে বার অ্যাসোসিয়েশন এজলাস বয়কট করেছে বলে অভিযোগ। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনার দিন বুদবুদের কংগ্রেস কর্মীদের মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় ১১ জন তৃণমূল কর্মীকে। তৃণমূলের গলসি ১ এর চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের তৃণমূলের বিজয়ী পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী তথা দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের ল’ ক্লার্ক রতন মণ্ডল-সহ ১১ জন তৃণমূল কর্মীকে গত বুধবার দুর্গাপুর মহাকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল। আদালতে ল’ ক্লার্ক রতন মণ্ডলের জামিনের আবেদন করলে জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারক অসীমানন্দ মণ্ডল। প্রত্যেকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
তারপরেই দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা অসীমানন্দ মণ্ডলের এজলাস বয়কট করেন। পাঁচদিন ধরে চলছে সেই বয়কট। এই বয়কটের তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। আইনের দ্বারস্থ সাধারণ মানুষ হেনস্থা হচ্ছেন বলেও অভিযোগ। অচলাবস্থা কাটাতে এদিনই দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের নতুন ভবনে বার বয়কটপন্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিচারকরা। বৈঠকের শেষে বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবব্রত সাঁই বলেন, “অনভিপ্রেত ঘটনা। একসঙ্গে থাকতে গেলে মতান্তর হয়। তা আবার আলোচনার মাধ্যমে মিটেও যায়। এই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। কাল বার বৈঠক করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।” তবে এদিন হাই কোর্টের এই নির্দেশের জেরে চলতি সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আইনজীবীদের একাংশের দাবি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.