গোবিন্দ রায়: হাই কোর্টের নির্দেশে সাময়িক স্বস্তিতে মন্দারমণির হোটেল মালিকরা। জেলাশাসকের হোটেল ভাঙার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ডিসেম্বর।
সমুদ্রপাড় দখল করে মন্দারমণি (Mandarmani)পর্যটনকেন্দ্রে গজিয়ে উঠেছে একের পর এক হোটেল। অভিযোগ, রীতিমতো প্রাচীর দিয়ে তার উপরেই পর্যটকদের আমোদ প্রমোদের ব্যবস্থা করেছে একাধিক হোটেল। যার ফলে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে শতাধিক ‘বেআইনি’নির্মাণ ভেঙে ফেলার নোটিস দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তরের কোনও আধিকারিক, এমনকী, মুখ্যসচিবও জানতেন না বলেই পরবর্তীতে জানা যায়। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে হোটেল মালিকদের সঙ্গেই দ্রুতই বৈঠকে বসার কথাও বলেন মুখ্যসচিব। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “বুলডোজার কোনও সমাধানের পথ নয়। কোনওরকম বুলডোজার চলবে না।”
এই পরিস্থিতিতে গত বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন হোটেল মালিকরা। তাঁদের যুক্তি ছিল, “এই হোটেল ব্যবসা থেকে আমাদের আয় হয়। এই উপার্জনেই সংসার চলে। এই ব্যবসার সঙ্গে কয়েক হাজার পবিবার যুক্ত। তাঁরা এই হোটেল চালু করার আগে প্রশাসনের সব রকম অনুমতি নিয়েছে। তাই এখন অবৈধ ঘোষণা সঠিক পদক্ষেপ নয়।” সেই মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা হোটেল ভাঙার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে মামলার সব পক্ষকে রিপোর্ট হাই কোর্টে পেশ করতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.